শিক্ষিকাকে গণধর্ষণের প্রতিবাদে সিলেট জেলায় শিক্ষকদের কালো ব্যাজ ধারণ

41

বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারি শিক্ষক সমিতি রেজি নং-এস ১২০৬৮ এর কালো ব্যাজ ধারণ কর্মসূচি ২১ আগষ্ট, থেকে ২৩ আগষ্ট পর্যন্ত। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সিলেট জেলার প্রত্যকটি বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ প্রথম দিনে কর্মসূচি পালন করেন। সংগঠণের কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক ও সিলেট জেলার সাধারণ সম্পাদক প্রমথেশ দত্ত বলেন, প্রাথমিক শিক্ষক জাতি গড়ার কারিগর। আজ তাদেরই বিদ্যালয়ে কোন নিরাপত্তা নেই। বিদ্যালয়ে দুর্বৃত্তরা প্রবেশ করে শিক্ষিকাকে গণধর্ষণ করে। যা সত্যি বড় দু:খের এবং পরিতাপের বিষয়। শিক্ষকরা যদি নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে তবে এই জাতিকে তা ভীতসন্ত্রস্থ মন নিয়ে কি দিবে? জাতির বিবেকের কাছে তিনি প্রশ্ন রাখেন। আজ সারাদেশের শিক্ষকদের মনে এই একটাই চাওয়া “শিক্ষক সুরক্ষা আইন “চাই এবং বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলার শিক্ষিকার ধর্ষণের সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে ধর্ষকদেরকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর জন্য জোর দাবি জানান। সিলেট জেলা কমিটির সভাপতি জেসমীন সুলতান বলেন, আমার বোনরা বিদ্যালয়ে এমন নির্মম নিযাতনের স্বীকার হতে হয়,তবে এ জাতির ভবিষ্যৎ কী হতে পারে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আমি এসব জগণ্য পৈশাচিক ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দাজ্ঞাপন করছি এবং ধর্ষকদের দ্রুত বিচারের আওতায় এনে শাস্তি বিধানের দাবি জানাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, “এই ধর্ষণের ঘটনার সত্য চাপা দেওয়ার পাঁয়তারা চলছে।একজন মহিলা তাঁর সম্মান নিয়ে এমন মিথ্যাচার করতে পারেন না। তা বিশ্বাসযোগ্য নয় এর সুষ্ঠু তদন্ত ও উপযুক্ত শাস্তি প্রদানের দাবি করেন , বিকেল পাঁচ টার জেলা কমিটির প্রতিবাদ সভায়। উক্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সিনিয়র সসভাপতি নুরুল ইসলাম, জেলা সিনিয়র সভাপতি নিকেতন দাস, সহ সভাপতি স্বপন তালুকদার, আব্দুস সামাদ,অজয় দে, আব্দুল আহাদ, সাইফুল আলম রাজ্জাক,বাবুল কান্তি দাস, নুরুল আমিন, মো: রহুল আমীন, আব্দুল মালেক, শামীম আহমদ, বুরহান উদ্দীন, নাসির মাহমুদ, কল্যাণব্রত বিশ্বাস,আব্দুল মজিদ, মিটন দাস, মাহবুবুর রহমান শিবলু,হানিফ আহমেদ,বদরুল ইসলাম, শেখ নুরুল ইসলাম খান প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি