সিলেট সদর উপজেলার খাদিমনগর ইউনিয়নের বড়জান চা বাগান এলাকার সবচেয়ে বড় একটি মুদির দোকান হাসান ষ্টোর। এ দোকানের মালিক হাসান ও হামিদ। গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাত আনুমানিক সাড়ে ৩টার দিকে দোকানে আগুন লাগে। আগুনে দোকানের মালামাল সহ ২০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়। দোকানে তেল ও মবিল থাকায় আগুনের মাত্রা আরো বৃদ্ধি পায়। স্থানীয়রা শত চেষ্টা করেও কোন ভাবেই আগুন নিভাতে পারেনি। ফায়ার সার্ভিসের নাম্বার নাথাকায় যোগাযোগ করা যায়নি। এদিকে দোকানের মালিক ক্ষুব্ধ প্রকাশ করে বলেন বিদ্যুতের কারণে এলাকার মানুষ আগুন নেভাতে সাহস করেনি বা ভয়ে কাছে যায়নি। বিদ্যুতের লাইনটি বন্ধ করতে তারা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে ফোন দেন কিন্তু কর্মকর্তারা আমারা ঘুমাব না, নাকি বলে ধমক দেয়। আবার যোগাযোগ করলে কোম্পানীগঞ্জ এর কর্মকর্তারা বলে সাহেববাজার অফিসে যোগাযোগ করতে আর সাহেববাজার অফিসের কর্মকর্তারা বলে কোম্পানীগঞ্জ কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করতে। এভাবেই দোকানের সব মালা মাল ও নগদ টাকা জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। স্থানীয় ইউ/পি সদস্য শামীম আহমদ জানান এই দোকানটি বৃহত্তর বাগানিদের কেনা কাটার একমাত্র দোকান ছিল। এদোকানটি পুড়ে যাওয়ায় যেমন দোকান মালিকের ক্ষতি হয়েছে তেমনি বাগানের চা শ্রমিকদের বিরাট অসুবিধা হচ্ছে। এদিকে অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে পরদিন ঘটনাস্থলে যান সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আশফাক আহমদ। তিনি তাৎক্ষণিক ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিককে ৩ বান ঢেউটিন ও কিছু নগদ অর্থ প্রদান করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আজিজ, উত্তর ভ্যালী চা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রাজু গোয়ালা, ইউ/পি সদস্য শামীম আহমদ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সাংগঠনিক সম্পাদক আল মামুন শাহিন, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আজাদুর রহমান সামাদ সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। বিজ্ঞপ্তি