বছরে একাধিকবার জ্বালানি ও বিদ্যুতের দর বাড়ানো যাবে

25

কাজিরবাজার ডেস্ক :
বছরে একাধিকবার বিদ্যুৎ এবং জ্বালানির দর পরিবর্তনের সুযোগ পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। কমিশন আইন-২০০৩ সংশোধনে মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে এ সংক্রান্ত বিল উত্থাপন করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন আইন অনুযায়ী বছরে একবারের বেশি বিদ্যুৎ এবং জ্বালানির দাম বৃদ্ধির সুযোগ নেই। কমিশন গঠনের সময় ২০০৩ সালে আইনটি প্রণয়ন করা হয়। এরপর থেকে বছরে একবারের বেশি গ্যাস এবং বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়নি। কিন্তু ২০১৭ সালের ২৩ ফেব্র“য়ারি গ্যাসের দাম বাড়িয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে। ওই সময় এক বছর দুইধাপে গ্যাসের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় বিইআরসি। বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে যায় বাংলাদেশ কনজ্যুমার এ্যাসোসিয়েশন (ক্যাব)। ক্যাবের রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ দ্বিতীয়ধাপে দামবৃদ্ধি স্থগিত করে। এরপর থেকেই আইনের এই ধারা পরিবর্তনের চেষ্টা করছে জ্বালানি বিভাগ। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন প্রতিমাসেও বিদ্যুত এবং জ্বালানির দাম নির্ধারণ করে দেয়। কিন্তু আমাদের দেশে রেগুলেটরি কমিশন অর্ধেক দায়িত্ব পালন করে। এখনও দেশে জ্বালানি তেল এবং এলপিজির দাম নির্ধারণে কমিশন কোন ভূমিকা রাখতে পারে না। শুধু গ্যাস এবং বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করে কমিশন। তেলের দাম নির্ধারিত হয় সরকারের নির্বাহী আদেশে আর এলপিজির দাম নির্ধারণ করে ব্যবসায়ীরা। দীর্ঘদিন ধরে সবধরনের জ্বালানির দাম নির্ধারণে বিইআরসিকে সুযোগ দেয়ার দাবি উঠলেও তা কার্যকর করা সম্ভব হচ্ছে না।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধন) বিল-২০২০ নামে উত্থাপিত বিলটি ৩০ দিনের মধ্যে বিলটি পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়। গত বছরের ডিসেম্বরে বিলটি মন্ত্রিসভার অনুমোদন পায়।
২০০৩ সালে প্রণীত বিদ্যমান আইনে বিধান ছিল কমিশনের নির্ধারিত ট্যারিফ কোন অর্থবছরে একবারের বেশি পরিবর্তন করা যাবে না। যদি না জ্বালানি মূল্যের পরিবর্তনসহ অন্য কোন পরিবর্তন ঘটে। খসড়া আইনে এটা পরিবর্তন করে করা হয়েছে। বিলে বলা হয়েছে, কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত ট্যারিফ কোন অর্থবছরে কমিশনের একক বা পৃথক পৃথক আদেশ দ্বারা প্রয়োজন অনুসারে এক বা একাধিকবার পরিবর্তন করতে পারবে।