অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ॥ ফেঞ্চুগঞ্জে ঘিলাছড়া ইউপি চেয়ারম্যান বাবুল বরখাস্ত

35

স্টাফ রিপোর্টার :
এলজিএসপি-২’র ৩৬ লাখ ৩১ হাজার ৮২০ টাকা তছরুপের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার ঘিলাছড়া ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আশরাফ বাবুলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। অভিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আশরাফ বাবুল ও ইউপি সচিবের বিরুদ্ধে তদন্তক্রমে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।
স্থানীয় সরকার বিভাগের এলজিএসপি-২ প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক (ফিল্ড অপারেশন) স্বাক্ষরিত ৪৬.০১৮.২০০.০৪.২৮.২৫৮.২০১৭-৬৫১ (৬৬) স্মারকে বলা হয়, ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার ঘিলাছড়া ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক ২০১৫-১৬ অর্থবছরের অডিট প্রতিবেদনে বিরূপ (অ্যাডভার্স) মতামত পাওয়া গেছে। অডিট মতামতের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ইউপি কর্তৃক দায়েরকৃত আপিল আবেদনের ওপর শুনানিও হয়। তাতে অর্থ তসরুপের বিষয়টি প্রমাণিত।
আপিল শুনানীর সিদ্ধান্ত মোতাবেক অডিট প্রতিবেদনে উত্থাপিত আপত্তির উপর ইউনিয়ন পরিষদের বক্তব্য, অডিট ফার্মের বক্তব্য, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালকের সরেজমিন প্রতিবেদন ও সুপারিশ পর্যালোচনায় অভিযোগ (এলজিএসপি-২ এর ৩৬ লাখ ৩১ হাজার ৯২০ টাকা তছরুপের অভিযোগ) প্রমাণিত হওয়ায় অডিট আপত্তি বহাল রাখা হয়। দায়ী ইউপি চেয়ারম্যান ও তৎসময়ে কর্মরত সচিবের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলা ও অদক্ষতার জন্য জেলা প্রশাসক বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় সরকার বিভাগ সিলেটের উপ-পরিচালক দেবজিৎ সিংহ আপিল আদেশ বাস্তবায়নে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী এক স্মারকে উল্লেখ করেন, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও সচিব কর্তৃক এলজিএসপি-২ এর ৩৬ লাখ ৩১ হাজার ৯২০ টাকা তছরুপের বিষয়টি প্রমাণিত।
সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ ও অডিট আপত্তির সময়ে কোন ইউপি সচিব দায়িত্ব পালন করেছিলেন, সে বিষয়ে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে ঘিলাছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফ বাবুল বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দফতর থেকে আসা চিঠির জবাব সোমবার দিয়েছি। এলজিএসপি-২ এর টাকায় যেসব কাজ করিয়েছি, তাতে প্রকৌশলীরও স্বাক্ষর আছে। ফাইল, রেজুলেশন সবই আছে। অভিযোগে উল্লেখিত টাকায় কি কি কাজ করিয়েছেন? এই প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, মোবাইল ফোনে সব কিছু বলা যাবে না। সরাসরি সাক্ষাৎ হলে বলতাম।
এ ব্যাপারে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) আনিছুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে  বলেন, অর্থ তছরুপের জবাব চেয়ে চেয়ারম্যান বরাবরে চিঠি দিয়েছি। গত মঙ্গলবার তিনি কর্মস্থলে ছিলেন না, তাই চিঠির জবাব এসেছে কিনা তা তার জানা নেই। স্থানীয় সরকার বিভাগ সিলেটের উপ-পরিচালক দেবজিৎ সিংহ চেয়ারম্যান ও ইউপি সচিব কর্তৃক ৩৬ লক্ষাধিক টাকা তছরুপের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বর্তমানে ওই ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সাময়িক বরখাস্ত রয়েছেন। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।