স্টাফ রিপোর্টার :
শহরতলীর মাখরখলা থেকে ২০ মামলার পলাতক আসামী ও শীর্ষ সন্ত্রাসী সুজন মিয়াকে (৩০) গ্রেফতার করেছে র্যাব-৯’র সদস্যরা। গ্রেফতারকৃত সুজন এয়ারপোর্ট থানার মাখরখলা গ্রামের সুন্দর আলীর পুত্র।
র্যাব-৯’র পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা গেছে গত ১৫ সেপ্টেম্বর বিকেল সোয়া ৪ টার দিকে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-৯ এর সিপিসি-১, সিলেট ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এয়ারপোর্ট থানার মাখরখলা গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে এলাকাবাসীর সহযোগীতায় সিলেট জেলার তালিকাভূক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী সুজন গ্র“পের প্রধান সুজন মিয়াকে গ্রেফতার করে। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১১ (এগারো) টি গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি ও ২০টি মামলা রয়েছে।
র্যাব আরো জানায়, শীর্ষ সন্ত্রাসী সুজন তার নামে একটি সশস্ত্র সšা¿সী বাহিনী তৈরী করে এবং সেই বাহিনীর গড ফাদার হিসাবে পরিচিত বলে সবাই জানায়। সন্ত্রাসী সুজনের নেতৃত্বে তার বাহিনী এসএমপির বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘদিন যাবত সন্ত্রাসী কর্মকান্ড নির্ভয়ে চালিয়ে আসছিল। সে এলাকায় ত্রাস হিসেবেও পরিচিত। তার এহেন কর্মকান্ডে এলাকাবাসী সব সময় আতঙ্কে থাকত। এয়ারপোর্ট থানা এলাকায় সকল সন্ত্রাসী কার্যক্রমে অংশগ্রহনসহ চাঁদাবাজি, ছিনতাই, খুন, নারী নিযার্তন, মারামারি ও পুলিশ এসল্টসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকান্ড ছিল তার নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা। এলাকার যুবতী ও উঠতি বয়সের মেয়েরা তার ভয়ে সর্বদা ভীত থাকত এবং নির্ভয়ে স্কুল কলেজে যেতে পারতো না।
আরো জানা যায় যে, শীর্ষ সন্ত্রাসী সুজন মিয়া গ্রেফতার এড়ানোর লক্ষ্যে ঘনঘন নিজের অবস্থান পরিবর্তন করে আসছিল। সুজনের সশস্ত্র সহযোগীরা গ্র“পে গ্র“পে বিভক্ত হয়ে প্রতিদিন মাখরখলা গ্রামের চারপাশে পালাক্রমে পাহারার ব্যবস্থা করত সন্ত্রাসী সুজনসহ তার বাহিনীর অন্যান্য সন্ত্রাসীদের নিরাপত্তা বিধান করত। উল্লেখ্য যে, সুজনকে গ্রেফতার করার সময় তার সশস্ত্র সহযোগীরা পূর্বের ন্যায় তাকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু র্যাবের দক্ষতা, সক্ষমতা ও সাহসি ভূমিকার কারণে তাদের সকল অপচেষ্টা সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয় এবং সন্ত্রাসী গ্র“পের একজন সদস্য রাতের আধারে দেশীয় দা দিয়ে কোপ দিলে উক্ত কোপে একজন র্যাব সদস্য সার্জেন্ট তপু রায়হান আহত হয়ে বর্তমান সিএমএইচ এ চিকিৎসাধীন রয়েছে। এতে একাধিক র্যাব সদস্যসহ সন্ত্রাসী সুজনও আহত হয়। আহত র্যাব সদস্যদের সিলেট এমএজি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়। র্যাবের কঠোর অবস্থানের কারণে সন্ত্রাসী সুজনকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা ব্যর্থ হলে অপকর্মকারিরা উপায়ান্তর না পেয়ে কিছু দেশিয় অস্ত্র ঘটনা স্থলে ফেলে রেখে রাতের অন্ধকারে ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত পলায়ন করে। ইতি পূর্বেও গ্রেফতার এড়ানোর লক্ষ্যে উক্ত সন্ত্রাসী গ্র“প আইন শৃঙ্খলার বাহিনীর উপর আক্রমন করে। ফলে সুজন মিয়াসহ তার সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি পুলিশ এসল্ট মামলা রয়েছে। আহত শীর্ষ সন্ত্রাসী সুজনকে চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সুজনকে গ্রেফতার করায় স্থানীয় জনগন স্বস্তি প্রকাশ করেছে এবং র্যাবকে সাধুবাদ জানিয়েছে। সুজন বাহিনীর অন্যান্য সশস্ত্র সহযোগীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য এলাকাবাসি জোর দাবি জানায়। উদ্ধারকৃত আলামতসহ গ্রেফতারকৃত আসামীকে এয়ারপোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।