জগন্নাথপুরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ সহ আহত ৭০

53

জগন্নাথপুর থেকে সংবাদদাতা :
জগন্নাথপুরে মাদ্রাসার জমি নিলাম দেয়া নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ সহ কমপক্ষে ৭০ জন লোক আহত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের শ্রীধরপাশা গ্রামে।
সরজমিনে স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে শ্রীধরপাশা গ্রামের উপজেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি আবদুল মালিক ও বিএনপি নেতা জাবেদ আলম কোরেশীর লোকজনের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে।
এরই জের ধরে শনিবার দুপুরে স্থানীয় শ্রীধরপাশা দারুল উলুম মাদ্রাসার জমি নিলাম দেয়া নিয়ে জাবেদ আলম কোরেশী ও আবদুল মালিক পক্ষের ফয়সল মিয়ার মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। প্রায় ঘন্টা ব্যাপী সংঘর্ষের ঘটনায় এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয় এবং প্রায় ৫০ রাউন্ড গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে বিএনপি নেতা জাবেদ আলম কোরেশী পক্ষের ছোড়া বন্দুকের গুলিতে আ’লীগ নেতা আবদুল মালিক পক্ষের লোকজন বেশিরভাগ আহত হন বলে সরজমিনে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। খবর পেয়ে জগন্নাথপুর থানার ওসি (তদন্ত) মঈন উদ্দিনের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক পুলিশ দল ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। ততক্ষণে সংঘর্ষের ঘটনায় নারী সহ কমপক্ষে ৭০ লোক আহত হন।
আহতরা হলেন, গউছ আলী, নুর আলী, পাবেল মিয়া, রাসেল মিয়া, শিরু মিয়া, সিদ্দিক আলী, ফেরদৌস মিয়া, সুয়েব আহমদ, আছাদ মিয়া, কিরণ মিয়া, রাহাত মিয়া, রাজিব আহমদ, আবুল লেইছ, তোয়াহিদ মিয়া, হেলাল মিয়া, আলী হোসেন, আনাই মিয়া, ফজরুন্নেছা, মতিউর রহমান, আজিজুর রহমান, সজিব মিয়া, লিমন মিয়া, তখলিছ মিয়া, রাহুল মিয়া, হাসান মিয়া, ইসলাম উদ্দিন, রুহেল মিয়া, জুয়েল মিয়া, খসরু আবেদীন, সুহিনুর মিয়া, হোসেন মিয়া, জুনেদ মিয়া, ছইদন আলী, ফুল মিয়া, সাহেল মিয়া, দিলোয়ার হোসেন, আবদুল বারী, সবজুল মিয়া, রতসল মিয়া, জয়নাল আবেদীন, রিপন মিয়া, আলী আহমদ, মওদুদ আহমদ, আবদুল তাহিদ, জিলানী, সাইদ আহমদ, আবদুল গণি, রব্বানী মিয়া, সিরাজুল ইসলাম, আশ্বাদ মিয়া, নেওয়াজ মিয়া, আক্তার হোসেন, ফারুক মিয়া, কদ্দুছ মিয়া, জিয়া উদ্দিন, ইদ্রিছ আলী, আবদুল ওয়াদুদ, ফখরুল ইসলাম, নুর আহমদ, হাসান নুর, ইমাম উদ্দিন, ফাহিম মিয়া ও লিটন দাস। এর মধ্যে গুরুতর আহত ৩৭ জন গুলিবিদ্ধসহ ৩৮ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে বলে জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের ডা. এসএম জহিরুল ইসলাম জানান। বাকি আহতদের জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তিসহ প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর থানার ওসি (তদন্ত) মঈন উদ্দিন জানান, পুলিশের তৎপরতায় বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।