কমলগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বাংলা পরীক্ষায় ছবি দেখে আম পাতা লিখতে না পারায় মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী ইসলামপুর ইউনিয়নের শ্রীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বেত্রাঘাতে ১ম শ্রেণীর এক ছাত্রী আহত হয়েছেন। সুরাইয়া ইয়াসমিন (৭) নামের ওই ছাত্রীর পিটে একাধিক আঘাতের দাগ ভেসে উঠেছে। আহত শিশু ছাত্রীকে নিয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। আহত ছাত্রীকে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার সকাল পৌনে ১১ টায় বিদ্যালয়ের শ্রেণী কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
আহত ছাত্রীর চাচা সিকন্দর আলী অভিযোগ করে বলেন, সোমবার বাংলা পরীক্ষায় ছবি দেখে আম পাতা লিখতে না পারায় প্রধান শিক্ষক নূরুল ইসলাম একটি বেত নিয়ে সুরাইয়া ইয়াসমিনের পিটে একাধিক আঘাত করেন। আঘাতের এক পর্যায়ে শিশু শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে আহত সুরাইয়া বাড়িতে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। খবর পেয়ে ছাত্রীর অভিভাবকরা বিদ্যালয়ে এসে প্রধান শিক্ষকের কাছে ঘটনা জানতে চাইলে তিনি (প্রধান শিক্ষক) অসৌজন্যমূলক আচরণ করায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার শরণাপন্ন হন। পরে উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করি। আহত সুরাইয়াকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
জানতে চাইলে শ্রীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নূরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি রাগের বশিভূত হয়ে দু’টি বেত্রাঘাত করেছি। ছাত্রীর চাচা অফিসে আসলে সেটি আমার ভুল হয়েছে বলার পরও তিনি বিদ্যালয়ে ভাংচুর করেন।
এ ব্যাপারে কমলগঞ্জ উপজেলা ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা অফিসার জয় কুমার হাজরা বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। আহত ছাত্রীটিকে দেখেছি। এভাবে বেত্রাঘাত করা ঠিক হয়নি। দ্রুততম সময়ে তদন্ত সাপেক্ষে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহমুদুল হক বলেন, শিশুটিকে নিয়ে আমার কাছে আসলে উপজেলা শিক্ষা কর্মকতার কাছে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলেছি।