সিলেট নগরীর রায়নগরে শায়খুল ইসলাম ইন্টারন্যাশনাল জামেয়ায় হৃদয় নামে কোন শিক্ষক নেই। ‘নগরীর শিবগঞ্জে স্কুল ছাত্র বলৎকারকারী হৃদয় ওই মাদ্রাসার শিক্ষক নয়। গণমাধ্যমে ভুল তথ্য দিয়ে কেউ জামেয়ার সম্মান ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করছে। এ সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন শায়খুল ইসলাম ইন্টারন্যাশনাল জামেয়া কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে জামেয়ার প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ সালিম কাসেমী বলেন, ৬ অক্টোবর স্কুল ছাত্র বলৎকারের ঘটনায় হৃদয় (২০) নামক এক লম্পট প্রতারককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ওই প্রতারক নাকি বলেছে “সে শায়খুল ইসলাম মাদরাসায় পড়ায়”। অথচ ২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠিত সিলেট নগরীর ১৯নং ওয়ার্ডের রায়নগর দর্জিপাড়াস্থ শায়খুল ইসলাম ইন্টারন্যাশনাল জামেয়ায় ‘হৃদয়’ নামে কোনো শিক্ষক, ছাত্র বা কর্মচারী কেউই নেই। এমনকি জামেয়ার অতীত বর্তমানের ডকুমেন্টে এ নামের কোনো মানুষের অস্তিত্বও নেই। কোনো প্রতারক যদি মিথ্যা তথ্য দিয়ে শায়খুল ইসলাম ইন্টারন্যাশনাল জামেয়াকে আঘাত করে এবং প্রতিষ্ঠানের গায়ে কলংক লেপনের চেষ্টা করে তাহলে পরিণাম ভালো হবে না। আমরা চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলছি ‘হৃদয়’ নামক অপকর্মকরীর সাথে শায়খুল ইসলাম জামেয়ার ন্যুনতম কোনো সম্পর্ক নেই, সে মিথ্যা বলেছে। আমরা এহেন মিথ্যাচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। পাশাপাশি সবাইকে কোনো প্রকার অপপ্রচার বা মিথ্যা সংবাদে বিভ্রান্ত না হবার আহবান জানাচ্ছি।
বিবৃতিতে শায়খুল ইসলাম জামেয়া কর্তৃপক্ষ আরো বলেন, আমরা মনে করি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কেউ জামেয়ার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। জামেয়া কর্তৃপক্ষ সুস্পষ্টভাবে বলেন ‘হৃদয়’ নামক কোনো লম্পটের সাথে শায়খুল ইসলাম ইন্টারন্যাশনাল জামেয়ার যেমন কোনো প্রকার সম্পর্ক নেই, ঠিক তেমনি সিলেট নগরীর রায়নগর দর্জিপাড়াস্থ সৌরভ-৫২, জমশেদ মঞ্জিলে অবস্থিত একমাত্র ক্যাম্পাস “শায়খুল ইসলাম ইন্টারন্যাশনাল জামেয়া” ছাড়া আর কোথাও কোনো শাখা বা ক্যাম্পাস আমাদের নেই। শহরতলীর বালুচরে এমন নামে কোনো প্রতিষ্ঠান থাকলেও সেটার সাথে আমাদের নুন্যতম কোনো সম্পর্ক নেই। তবে বালুচর এলাকার বিশিষ্টজনেরা বলেছেন “শায়খুল ইসলাম” নামে বৃহত্তর বালুচরে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই। তবে অপরাধ যেই করুক, মিথ্যা পরিচয়ে নয়, আমরা অপরাধীর বিচার চাই তার সঠিক পরিচয় শনাক্তকরণের মাধ্যমে। বিজ্ঞপ্তি