আল-আমিন
নির্বোধ ঘাতকরা কবিতাকে নিস্তব্ধ করার জন্য কবিকে হত্যা করলো।
কবিতা কখনো নিস্তব্ধ হয় না,
কবির মৃত্যু হয় নি,
কবি আজ উত্তোলিত, উদ্ভাসিত।
কবি শিশু কিশোর তরুণ-তরুণীর হৃদয়ে,
কবি বাংলার কবিতায়, বাঙালির চেতনায়।
সেই নির্বোধ ঘাতকরা জানত না,
কবিকে হত্যা করা হলে কবির জন্য পাতায় পাতায় কবিতা লিখা হবে।
কবির জন্য কবিতার পান্ডুলিপি জমা পড়বে প্রকাশনায়।
কবি থাকবেন বাংলার এ প্রান্ত থেকে ঐ প্রান্তে,
হিমালয় থেকে সমুদ্রে,
প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের হৃদয়ে।
তিনি কবি, এই কবি ব্যক্তির নয়,
তিনি বাঙালির কবি।
কবির সৃষ্টি কবিতা, কবির সৃষ্টি স্বাধীনতা।
কবির সৃষ্টি সার্বভৌমত্ব বাংলাদেশ।
কবির সৃষ্টি রেসকোর্স ময়দানের সেই কবিতা,
যে কবিতা মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে শিক্ষা দেয়।
যে কবিতা উঁচু কন্ঠে বিশ্বকে জানাতে চায়,
আমি বাঙালি, বাংলা আমার ভাষা,
বঙ্গবন্ধু আমার নেতা।
আমি কবিকে দেখেনি, কিন্তু কবির কবিতার প্রেমে পড়েছি।
আমি কবি সেই কবিতার আসর রেসকোর্স ময়দান দেখিনি,
কিন্তু সোহরাওয়ার্দী উদ্যান দেখেছি।
কবিতা নিস্তব্ধ হয়না যেমন সত্য,
কবি মৃত্যুকে ভয় পায় না।
তিনি তো সেই কবি, যে কবি মৃত্যুর মুখোমুখি হয়ে চিৎকার করে বলেছিল-
“বাঙালি একবার মরে, দু’বার নয়”।
আমি তো সেই কবির কথা বলছি,
যে কবির কথা কিউবার রাষ্ট্রজনক ফিদেল কাস্ট্রো বলেছিলেন-
“আমি হিমালয় দেখিনি, আমি বঙ্গবন্ধুকে দেখেছি।”
আজ আমি অহংকারী, আমি গর্ব করে বলি,
আমি শেখ মুজিবুর রহমানের উত্তরসূরী।
কিন্তু !
কিন্তু ! কবিকে নিকৃষ্ট ঘাতকরা হত্যা করল,
হত্যা করল সহধর্মীনি শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবকে।
শেখ কামাল, শেখ জামালকে বঞ্চিত করল বাঁচার অধিকার থেকে।
হত্যা করল সেই রাসেলকে!
যে রাসেল বলেছিল- “হাসু আপু,
আমি তোমার আব্বাকে আব্বা বলে ডাকি।”
কিন্তু ! নির্মম সেই দিন।
ইতিহাস রচনা করল কালো অধ্যায়ের,
কবিতা লেখা হলো শোকাবহের।
বঙ্গবন্ধু তুমি মরো নাই,
তোমার মৃত্য নয়, তুমি আমৃত্য।