সুনামগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
অনুকূল আবহওয়া বিরাজ করার পরও সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। সকাল থেকে সুরমা নদীর পানি বেড়ে পৌর এলাকার ষোলঘর, কাজীরপয়েন্ট, পশ্চিমবাজার, তেঘরিয়া, সাহেববাড়ির ঘাট, বড়পাড়া, মল্লিকপুর, ওয়েজখালী, জলিলপুরসহ বেশ কিছু এলাকায় বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। বেলা ৩টায় সুনামগঞ্জের ষোলঘর পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি বিপদ সীমার ৯৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বৃষ্টিপাত কম হলেও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সুরমা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। কয়েকদিন ধরে বন্যার কারণে কয়েক লাখ মানুষ পানি বন্দী অবস্থায় রয়েছেন। বন্যার কারণে সদর, তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর, দোয়ারাবাজার,দিরাই, জামালগঞ্জ, ধর্মপাশাসহ ১১টি উপজেলার ২০ হাজার ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। এছাড়া ৭০০ হেক্টর আমন ধানের বীজতলা, ৫০০০ হেক্টর রোপা আমন নষ্ট হয়ে গেছে। সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিক ভুইয়া জানান, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের জন্য আজ সকাল থেকে সুরমা নদীর পানি অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বৃষ্টিপাত কম হলেও পাহাড়ি ঢল বন্যা পরিস্থির অবনতি ঘটাচ্ছে। তবে সুরমা নদী দিয়ে পানি খুব ধীর গতিতে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনো খাবারের প্যাকেট, নগদ টাকা ও চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।