জগন্নাথপুর থেকে সংবাদদাতা :
জগন্নাথপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় এক গাড়ি চালক আহত হয়েছেন। এ নিয়ে অন্যান্য গাড়ি চালকদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় বড় ধরণের সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
জানা গেছে, জগন্নাথপুর-রাণীগঞ্জ সড়কে গাড়ি চলাচল পরিচালনা নিয়ে জগন্নাথপুর পৌর পয়েন্ট-পূর্বপাড় অটোরিকশা মালিক সমিতি ও রাণীগঞ্জ সমিতির চালকদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে গত ২ দিন ধরে জগন্নাথপুর-রাণীগঞ্জ সড়কে উভয় সমিতির গাড়ি চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এদিকে-গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক রাখতে উভয় সমিতির নেতৃবৃন্দের সাথে সমন্বয় করেন জগন্নাথপুর থানার এসআই লুৎফুর রহমান। তাতেও কাজ হয়নি। অবশেষে বিষয়টি স্থায়ীভাবে নিষ্পত্তি করতে সুনামগঞ্জ জেলা আ’লীগের সাবেক সহ-সভাপতি প্রবীণ রাজনীতিবিদ সিদ্দিক আহমদ, জগন্নাথপুর উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী রেজাউল করিম রিজু ও জগন্নাথপুর পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র শফিকুল হক উদ্যোগ নেন। আগামী বৃহস্পতিবার আ.লীগের দলীয় কার্যালয়ে উভয় সমিতির নেতাকর্মীদের নিয়ে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল।
এর মধ্যে বুধবার বিকেল ৫ টার দিকে জগন্নাথপুর স্ট্যান্ডের গাড়ি চালক পাবেল মিয়া যাত্রী নিয়ে রাণীগঞ্জে গিয়ে ফেরার পথে স্থানীয় গন্ধর্বপুর গ্রাম এলাকায় রাণীগঞ্জ স্ট্যান্ডের সহ-সভাপতি বিএনপি নেতা জামাল মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক জুয়েল মিয়ার নেতৃত্বে অন্যান্য চালকরা অতর্কিত হামলা চালায়। প্রতিপক্ষের হামলায় আহত গাড়ি চালক পাবেল মিয়াকে (২৫) জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে জগন্নাথপুর স্ট্যা-ের গাড়ি চালকদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে জগন্নাথপুর থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জগন্নাথপুর পৌর পয়েন্ট-পূর্বপার অটোরিক্সা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদ সুমন আহমদ বলেন, বিষয়টি নিষ্পত্তি হওয়ার তারিখ নির্ধারণ থাকা সত্বেও তারা আমাদের স্ট্যান্ডের চালক পাবেলকে অন্যায়ভাবে মেরে তার গাড়ির কাগজপত্র ও মোবাইল সেট ছিনিয়ে নিয়েছে।