আয়োজক কর্তৃপক্ষের বিবৃতি ॥ মেলার অর্জিত অর্থ ব্যয় হবে মানবিক ক্ষেত্রে

76

তৃণমূল নারী উদ্যোক্তা সোসাইটি (গ্রাসরুট) আয়োজিত সিলেটের লাক্কাতুরা চা বাগান সংলগ্ন মাঠে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মেলা নিয়ে বেশ কয়েকদিন যাবত কিছু পত্রিকাতে বিভিন্ন ধরনের বিভ্রান্ত মূলক সংবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে যা অত্যন্ত দুঃখ জনক। এই বিষয় নিয়ে নিম্নে কিছু তথ্য উপস্থাপন করা হলো:
সিলেট মহানগর মহিলা আওয়ামীলীগ’র সহ সভাপতি, সিলেট ক্রীড়া সংস্থার সদস্য এবং গ্রাসরুটস’র উপদেষ্টা, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক সংসদ সদস্য এনাম আহমেদ চৌধুরী র স্ত্রী মারীয়াম চৌধুরী মাম্মী র  পুত্র ডেভিড এনাম চৌধুরীর ২টি কিডনি নষ্ট এবং অতি সত্ত্বর তা প্রতিস্থাপন করা প্রয়োজন। যা করতে ব্যায় হবে প্রায় ২৫-২৮ লক্ষ টাকা।
ইতিমধ্যে আওয়ামীলীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ তহবিল থেকে ৪ লক্ষ টাকা এবং সংরক্ষিত নারী সাংসদ থেকে ৮০ হাজার টাকা পেয়েছেন, অধিকাংশ টাকা খরচ হয়েছে প্রাথমিক চিকিৎসায়। এখন প্রতি সপ্তাহে ৩ দিন ডায়লসিস করাতে হচ্ছে। যা ব্যয় বহুল আর সেই চিকিৎসার জন্য ২ বছর ধরে তিনি বিভিন্ন ব্যাক্তি ও স্থানে ধন্না দিয়ে যাচ্ছেন।
গ্রাসরুটসের একজন উপদেষ্টার পুত্র বিনা চিকিৎসায় থাকবে?? মানবিক কারনে সেটি মেনে নেওয়া যায় না, কিন্তু  সাধ থাকলেও সাধ্য নেই অনেকের।
অবশেষে সিলেটর বেনারশী মসলীম এন্ড জামদানী সোসাইটির সভাপতি এমএ মঈন খান বাবলু মারীয়াম চৌধুরী মাম্মীর কাছে প্রস্তাবদেন একটি মেলার অনুমতির জন্য। অনুমতি পেলে মেলার আয়ের অর্জিত একটি অংশ চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যয় করা হবে।
১৪ জুলাই গ্রাসরুটস’র কেন্দ্রীয় সভায় বিষয়টি উপস্থাপন করা হয়। সকল সদস্য সম্মতিক্রমে অনুমোদন প্রদান করা হয়।
শুধু মাত্র মেলার দোকান ভাড়া দিয়ে এত টাকা সংগ্রহ করা সম্ভব নয়। তাই আয়োজক বেনারশী মসলীম এন্ড জামদানী সোসাইটির সভাপতি ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এমএ মঈন খান বাবলু মেলাটি যেহেতু শহরের বাহিরে এবং মেলার প্রবেশ ঠিকেট ফ্রি হওয়াতে দর্শক ও ক্রেতা সমাগম বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রচার প্রসারের স্বার্থে উক্ত মেলার পাশাপাশি স্টল, শিশু পার্ক ও সুপরিছন্ন দৈনিক র‌্যাফেল ড্র’র অনুমতি চান। বিষয় টি আইনের তাই আইনের অনুমতির জন্য, সরকার দলীয় বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ এবং অর্থমন্ত্রীর সুপারিশ সহ আবেদন প্রশাসন কে দেওয়া হয়।
আবেদনের প্রেক্ষিতে (অনুমতি পত্রের ১৫ নম্বর  ধারা অনুযায়ী) ২৮ জুলাই ২০১৭ তারিখ মেলা শুরু হয় এবং ৩০ জুলাই থেকে র‌্যাফেল ড্র শুরু করা হয়।
এ ধরনের সহযোগিতা এটি প্রথম নয়। ২০১০ সনে অগ্নিদগ্ধ জেসমিন কে বাচাতেও গ্রাসরুট হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। সে দিন ও একটি স্বার্থে নিশিমহল বিরোধিতা করে ছিলেন। জেসমিন কে আমরা বাচাতে পারি নি কিন্তু চেষ্টার ত্র“টি ছিল না।
মেলার শুরু থেকে বিশিষ্ট, রাজনৈতিক, সুশীল সমাজ ব্যক্তিবর্গ অব্যাহত সহযোহিতা করে যাচ্ছে সেই জন্য গ্রাসরুটস তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আশা প্রকাশ করছি সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। মহান শোকের মাসে মেলা কর্তৃপক্ষ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
ডভিড এনাম একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। প্রানপ্রিয় সংগঠন গ্রাসরুটস’র একজন সদস্যের সন্তান। স্বার্থ বাদীরা যত অপচেষ্টা করুক-ডেভিডের চিকিৎসা সহযোগিতায় অব্যাহত থাকবে। বিজ্ঞপ্ত