গোলাপগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
গোলাপগঞ্জে এক কিশোরীর রহস্যজনক মৃত্যু নিয়ে ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় গোটা উপজেলায় তোলপাড় চলছে। ঐ কিশোরী সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর গ্রামের আলী নুরের মেয়ে খাদিজা বেগম (১০)। এলাকা সূত্রে জানা যায়, গোলাপগঞ্জ উপজেলার বুধবারী বাজার ইউপির বনগ্রামের মৃত মতি মিয়ার বাড়িতে ৫ মাস যাবত গৃহকর্মীর কাজ করে আসছিল খাদিজা। শুক্রবার মৃত মতি মিয়ার স্ত্রী বেদেনা বেগমের নিকট আত্মীয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে সন্ধ্যায় বাড়িতে ফিরে রাতের রান্নার কাজে বেদেনা বেগমকে সহযোগিতা করে খাদিজা। কাজ শেষ হলে খাদিজা তার গৃহকর্ত্রী বেদেরা বেগমকে পাশের ঘরে টিভি দেখার কথা বলে চলে যায়। পরে রাত ৯ টায় নিজ ঘরের বারান্দায় খাদিজাকে পড়ে থাকতে দেখেন বেদেনা বেগম। এ সময় খাদিজাকে গোলাপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ জানায়, নিহত খাদিজার লাশ দাপন করার জন্য সকল প্রস্তুতি নেয় গৃহকর্ত্রী বেদেনার পরিবার। গতকাল শনিবার গোপন সংবাদ পেয়ে সকাল সাড়ে ১১টায় ঘটনা স্থলে পৌছে প্রাথমিক তথ্য উপাত্ত সংগ্রহের সময় নিহতের মৃত্যু নিয়ে সন্দেহ হলে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয় এবং ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এ ব্যাপারে গোলাপগঞ্জ মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ একেএম ফজলুল হক শিবলীর সাথে যোগাযোগ করলে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা যাচ্ছে খাদিজাকে শ্বারুদ্ধে হত্যা হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় সন্দেহজনক ভাবে গৃহকর্ত্রীর ছেলে কামরুল ইসলামকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।