স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীতে প্রায় কোটি টাকা মূল্যের একটি তক্ষক উদ্ধার করা হয়েছে। পরে সেটি অবমুক্ত করা হয়েছে সিলেট বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কেন্দ্রে।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার ৪ নভেম্বর রাতে প্রাধিকার এর সদস্যদের এক অচেনা প্রাণীর সন্ধান দেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী প্রশান্ত সিংহা প্রাপ্ত ও তার পরিবার। পরে প্রাধিকারের সদস্যরা নগরীর আম্বরখানা মণিপুরী পাড়া থেকে প্রাণিটি উদ্ধার করেন।
গতকাল শনিবার প্রাধিকারের জনসংযোগ সম্পাদক আরিজ আহমেদ সাদ বলেন, প্রাণীটি আসলে তক্ষক, লম্বায় ১০ ইঞ্চি। ওজন প্রায় ২০০ গ্রাম। অন্যান্য আত্মরক্ষী প্রাণীদের মত তক্ষকের ইন্দ্রিয় ক্ষমতা দাপুটে। এটি নিজের শরীরের লেজ, দাঁত, পা প্রভৃতি হারালেও আবার প্রাকৃতিকভাবে গজাতে পারে।
গত শুক্রবার প্রাধিকার এর সদস্য ও বনবিভাগের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে প্রাণিটি সিলেট বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কেন্দ্রে অবমুক্ত করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রাধিকারের উপদেষ্টা ও সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. কামরুল হাসান, ফরেস্ট রেঞ্জ অফিসার শহিদুল ইসলাম, প্রাধিকারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রাহমান, সভাপতি তাজুল ইসলাম, রেসকিউ হেড আশরাফুল ইমন, জনসংযোগ সম্পাদক আরিজ আহমেদ ও নাহিয়ান রহমান।
ডা. কামরুল হাসান বলেন, এশিয়ান প্রাচীন আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা ও আধুনিক চিকিৎসায় হাঁপানি, এইডস, ক্যান্সারের ওষুধ তৈরিতে তক্ষক ব্যবহার করা হচ্ছে। কার্যত এ ঔষধ এবং পরীক্ষা ফলপ্রসূ না হলেও তক্ষকের বিলুপ্তি ও শিকার চলছে অবৈধভাবে, অহরহ। তিনি বলেন, ‘তক্ষক দিয়ে ক্যান্সারের মূল্যবান ওষুধ তৈরি হয়, প্রতিবেশী দেশে এর ব্যাপক চাহিদা, মাথার ম্যাগনেটের দাম কোটি টাকাও এমন গুজবের ওপর ভর করে রাতারাতি বড়লোক হওয়ার স্বপ্নে দেশজুড়ে রয়েছে কয়েকটি সংঘবদ্ধ চক্র । আমার জানামতে আদৌও এর মূল্যের সত্যতা পাওয়া যায়নি। তবে গুজবের কারণে বিলুপ্ত হচ্ছে বিরল প্রজাতির এই প্রাণীটি। আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘের (আইইউসিএন) লাল তালিকা অনুযায়ী এটি একটি বিপন্ন বন্যপ্রাণী।’