ফেঞ্চুগঞ্জে কুশিয়ারা পাওয়ার কোম্পানী লিমিটেড এর ১৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের মধ্যে গত ৩ আগষ্ট বৃহস্পতিবার বিকেলে সরকারীভাবে ১১৫ মেগাওয়াট বিদ্যুত ন্যাশনাল গ্রিডে দেওয়া শুরু হয়।
এ উপলক্ষে শ্রমিক-কর্মচারী ম্যানেজমেন্ট নিয়ে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্টের চেয়ারম্যান গোলাম মোঃ আলমগীর এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় কুশিয়ারা পাওয়ার কোম্পানী লিমিটেড এর মালিক পক্ষে বক্তব্য রাখেন মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী, নাঈম সামাদ চৌধুরী, গোলাম মোঃ আলমগীর ও জুলকার নাইন, কুশিয়ারা পাওয়ার লিমিটেড এর প্রকল্প পরিচালক মালিংগ্রাম, সিইও সুনীল জেন, মিঃ ফিলিপস, হামিদুর রহমান সহ পাওয়ার প্ল্যান্টের পরিচালক ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ উপস্থিত ছিলেন।
বেসরকারি উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত কুশিয়ারা পাওয়ার কোম্পানি লিঃ এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ১৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব। সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জের কুশিয়ারা নদী তীরে অবস্থিত এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি। কম্বাইন্ড সাইকেল প্রযুক্তির গ্যাসভিত্তিক এ বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে ব্যয় হয়েছে প্রায় ১৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, বাংলাদেশী মুদ্রায় যার মূল্যমান দাঁড়াবে ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা।
জানা যায় ইপিসি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অবকাঠামোগত উন্নয়নের কাজ করছে। প্রাথমিকভাবে ১১৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করে প্রতিষ্ঠানটি। পরবর্তীতে আরও ৫৫ মেগাওয়াট বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হবে। উৎপাদিত বিদ্যুতের পুরোটাই যোগ হবে জাতীয় গ্রিডে।
দেশের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণে বেসরকারি খাতের বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী ফেঞ্চুগঞ্জের মাইজগাঁও ইউনিয়নের মইনপুর এলাকায় কুশিয়ারা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড নামের বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি স্থাপনের উদ্যোগ নেন। এজন্য সেখানে ৯০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাশে ১৫ একর জমি ক্রয় করা হয়।
সরকারের অনুমতির পর ২০১৩ সালের ২০ মার্চ বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও জালালাবাদ গ্যাসের সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষর হয়। পরবর্তী সময়ে ২০১৫ সালের ২০ মার্চ প্রযুক্তিগত সহায়তার জন্য যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক জেনারেল ইলেকট্রিক কোম্পানির সঙ্গে আরেকটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়। ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও চীনের একাধিক প্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎ কেন্দ্রের যান্ত্রিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদানে সম্মত হয়। অনুষ্ঠান শেষে এক নৈশ ভোজের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী বলেন, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও মালিক পক্ষের অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে আজকে কুশিয়ারা পাওয়ার লিমিটেড জাতীয় গ্রিডে ১১৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দিতে সক্ষম হয়েছে। এজন্য তিনি আল্লাহর দরবারে শোকরিয়া আদায় করেন। বিজ্ঞপ্তি