গণপরিবহনে ন্যায্য ভাড়ার দাবিতে সিলেট নগরীতে মানববন্ধন করেছে যাত্রী অধিকার পরিষদ। বুধবার (১৩ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে সংগঠনের সভাপতি জ্যোতিষ মজুমদারের সভাপতিত্বে ও সহ-সভাপতি এম এ মতিনের পরিচালনায় মানববন্ধনে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দত উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, করোনা সংক্রমনের কারণে সিএনজিতে ৩ জন যাত্রী পরিবহনের সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু লকডাউন শিথিল হওয়া সত্ত্বেও সিএনজি চালকরা ৫ জনের পরিবর্তে ৩ জন যাত্রী পরিবহণ করছে এবং যাত্রীদের কাছ থেকে প্রায় দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করছে। এ সম্পর্কে পরিবহন শ্রমিক নেতৃবৃন্দ ও পুলিশ প্রশাসন থেকে বলা হয় যে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরের মতো সিলেটেও ৩ জন যাত্রী নিয়ে সিএনজি চলাচলের সিদ্বান্ত নেওয়া হয়েছে। তারা আরো বলেন সিএনজি কোনো গণপরিবহন নয়। আমাদের প্রশ্ন, সিএনজি যদি কোনো গণপরিবহন না হয় তাহলে তারা লোকাল যাত্রী পরিবহন করছে কেন? যেখানে ঢাকা এবং চট্টগ্রামে সিএনজি শুধুমাত্র রিজার্ভ সার্ভিস দিয়ে থাকে। তাছাড়া ঢাকা এবং চট্টগ্রামে বাস, মিনিবাস, সহ বিভিন্ন ধরণের গণপরিবহন রয়েছে। কিন্তু সিলেট মহানগরীতে একমাত্র গণপরিবহন হচ্ছে সিএনজি। বিকল্প গণপরিবহন চালু না করে হঠাৎ করে সিএনজি ভাড়া বাড়ানো হওয়ায় এর মাশুল দিচ্ছেন সাধারণ যাত্রীরা। নেতৃবৃন্দ বলেন, বিকল্প গণপরিবহনের ব্যবস্থা করে সিএনজিতে বিধি নিষেধ আরোপ করতে হবে। অবিলম্বে তাদের দাবী না মানা হলে গণ স্বাক্ষর, স্মারকলিপি সহ বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত রায়, সহ-সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ, সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের প্রভাষক তপন চন্দ পাল, জাগ্রত হাওড় উন্নয়ন ফোরামের সভাপতি রুহুল আমিন, এডভোকেট সুব্রত দাস, জুয়েল আহমদ, ছাত্রনেতা আব্দুর রহিম, খায়রুল ইসলাম, সাইফ আহমেদ, রব্বানী, বিজিত দাস প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি