স্টাফ রিপোর্টার :
ভিটামিন এ খাওয়ান, শিশুমৃত্যুর ঝুঁকি কমান-এমন প্রতিপাদ্যে আগামী শনিবার সারাদেশের ন্যায় সিলেটের ২ হাজার ৫৬৩টি টিকাদান কেন্দ্রে ভিটামিন এ প্লাস ক্যম্পেইন প্রথম রাউন্ডে জেলার ৪ লাখ ৪৪ হাজার ৯৬৯জন শিশুকে ভিটামিন-এ খাওয়ানো হবে।
ওইদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত সিলেটের ১২টি উপজেলায় এই কার্যক্রম চলবে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. হিমাংশু লাল রায়। তিনি জানান, এদের মধ্যে ৬ থেকে ১১ মাসের শিশুর সংখ্যা ৪৬ হাজার ৭শ’৭২ জন শিশুকে একটি করে নীল রঙের ও ১২ থেকে ৫৯ মাসের ৩ লাখ ৯৮ হাজার ৩শ’২২ জন শিশুকে লাল রঙের ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। গতকাল বুধবার দুপুরে সিভিল সার্জন সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এসব তথ্য জানান। তিনি আরোও বলেন, জেলার ১২ উপজেলায় অস্থায়ী টিকাকেন্দ্র রয়েছে ২৪১৬টি, স্থায়ী টিকাকেন্দ্র ১২টি,অতিরিক্ত টিকাকেন্দ্র ৯৯টি, ও ভ্রাম্যমাণ ঠিকাকেন্দ্র রয়েছে ৩৬টি। টিকাদানে প্রতি কেন্দ্রে ৩ জন করে ৫ হাজার ১২৬ জন স্বেচ্ছাসেবী কাজ করবেন।
এছাড়া স্বাস্থ্য বিভাগের ১১শ’২৫ জন কর্মী ক্যাম্পেইন কাজে নিয়োজিত থাকবেন। তাছাড়া ক্যাম্পেইন করার লক্ষ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন এ ক্যাপসুল সরবরাহ রয়েছে বলে মতবিনিময় সভায় জানানো হয়।
সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. আহমদ সিরাজুম মুনীরের সঞ্চালনায় মতবিনিময়ে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সিলেট সদর উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নুরে আলম শামীম, সিভিল সার্জন অফিসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা গৌছ আহমদ।
উল্লেখ্য, যদি কোন শিশু গত ৪ মাসের মধ্যে ভিটামিন ‘এ‘ ক্যাপসুল খেয়ে থাকে তাহলে সেই শিশুকে আর ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না। এছাড়া, কান্নারত অবস্থায় বা জোর করে শিশুকে খাওয়ানো যাবে না। কোন শিশুকে আস্ত বা গোটা খাওয়ানো যাবে না। ক্যাপসুলের মুখ কাঁচি দিয়ে কেটে ক্যাপসুলের ভিতরের তরল টুকু খাওয়াতে হবে।