একদিনে ভোলাগঞ্জের সাদা পাথর, উৎমাছড়া ও তুরুংছড়া ভ্রমণ

318

66027“মাসুক আহমদ”

দেশের সর্ববৃহৎ ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারীর অবস্থান এ এলাকায়। ভারতের খাসিয়া জৈন্তিয়া পাহাড় থেকে নেমে আসা ধলাই নদীর সাথে প্রতিবছর বর্ষাকালে নেমে আসে প্রচুর পাথর। ধলাই নদীর তলদেশেও রয়েছে পাথরের বিপুল মজুদ। রোপওয়ে পাথর কোয়ারী আর পাহাড়ী মনোলোভা দৃশ্য অবলোকনের জন্য এখানে প্রতিবছর পর্যটকদের আগমন ঘটে।
এই তিনটি জায়গা একদিনে ভ্রমণের জন্য অবশ্যই আপনাকে সকাল ৬ টার দিকে ভোলাগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হতে হবে। সিলেটের আম্বরখানা থেকে সিএনজি (৫ জন বসা যায়)/ লেগুনা (১২ জন বসা যায়) সারা দিনের ভাড়া করে নিবেন। সিলেট থেকে ভোলাগঞ্জের দুরত্ব প্রায় ৪০ কিলোমিটার। কিন্তু রাস্তা খারাপ হওয়ার কারণে এ সামন্য জায়গা যেতে ২. ৫-৩ ঘন্টা সময় লাগবে।
দয়ারবাজার নামক জায়গায় নেমে নৌকা ভাড়া করে সাদাপাথর যেতে হবে। যাওয়ার পথে বিজিবি এর কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। নৌকায় করে যেতে ১৫ মিনিটের মত সময় লাগবে। সাদাপাথর ভ্রমণ শেষে আবার দয়ারবাজার ফেরত আসবেন।
দয়ারবাজার হতে এবার গাড়ীতে করে চলে যাবেন চড়ারবাজার। চড়ারবাজার থেকে হেঁটে হেঁটে উৎমাছড়া যেতে ১০ মিনিট ও তুরুংছড়া যেতে ৪০ মিনিট লাগে। তাই প্রথমে তুরুংছড়া চলে যাবেন। তুরুংছড়া যেতে রাস্তা চিনিয়ে নেয়ার জন্য স্থানীয় কাউকে সাথে নিতে পারেন। অবশ্য হাঁটার সময় যে কাউকে বললেই রাস্তা দেখিয়ে দিবে। তবে এক্ষেত্রে সময় বেশী লাগবে। তাছাড়া তুরুংছড়ার সুন্দর অংশটুকু ভারতে তাই স্থানীয় কাউকে সাথে রাখা ভাল। এখানে গিয়ে বেশী সময় অতিক্রান্ত না করাই ভাল। কারণ অনেক সময় বিএসএফ এসে এখান থেকে তাড়িয়ে দেয়। তুরুংছড়া থেকে ফেরার পথে উৎমাছড়া চলে যাবেন। তুরুংছড়া থেকে উৎমাছড়ায় হেঁটে যেতে ৪০ মিনিট লাগবে। উৎমাছড়া ভ্রমণ শেষে ১০ মিনিট হেঁটে চড়ারবাজার। চড়ারবাজার থেকে সিলেটে ব্যাক করবেন।Bisanakandi-300x200
খরচ:- সারা দিনের জন্য সিএনজি ভাড়া ৩ হাজার টাকা/ লেগুনা ভাড়া ৪ হাজার টাকা। দয়ারবাজার থেকে সাদাপাথর যেতে নৌকা ভাড়া সর্বোচ্চ ১ হাজার টাকা। তবে দরদাম করে আরও কমানো যায় কিনা চেষ্টা করবেন। সকালের নাস্তা+দুপুরের খাবার+রাতের খাবার জন প্রতি ২শ’ ৫০ টাকা। সতর্কতা :- ১। সাদাপাথর ও তুরুংছড়া বর্ডারের পাশে। তাই সতর্ক থাকবেন ভুল করে যাতে বর্ডার অতিক্রম না করেন। ২। এই তিনটি জায়গা বিকেল ৫ টার মধ্যে ভ্রমণ করে সিলেটের উদ্দেশ্যে ব্যাক করবেন। ৩। ঐ দিকে রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ। তাই অসুস্থ শরীর নিয়ে ভ্রমণ করবেন না। ৪। বিরিয়ানির প্যাকেট নিয়ে পরিবেশ নষ্ট করবেন না। সকালের নাস্তা আম্বরখানা থেকে খেয়ে যাবেন এবং দুপুরের খাবার দয়ারবাজারের স্থানীয় হোটেলে খেয়ে নিবেন।
লেখক : প্রভাষক, হিসাব বিজ্ঞান বিভাগ, সিলেট দক্ষিণ সুরমা ডিগ্রি কলেজ।