হবিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার পাহাড়ি পরগণা দিনারপুরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যখন পাহাড় কাটা ভূমিদস্যুদের হাত থেকে মরতে মরতে বেচে উঠার নতুন করে স্বপ্ন বুনতে শুরু করেছিল ঠিক তখনই প্রকাশ্যে অবাধে পাহাড় কাটায় মেতে উঠেছেন একদলভুক্ত অসাধু ব্যক্তি । প্রশাসনের চোখের সামনে এমন কর্মকান্ডে বিলিন হয়ে যাচ্ছে হবিগঞ্জ জেলার ঐতিহ্যবাহী পাহাড়ি অঞ্চল দিনারপুর পরগণার কয়েক শতাব্দীর ঐতিহ্য। দিনারপুরে পাহাড় কাটা এখন নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে। অল্প কিছুদিন বন্ধ থাকার ফের প্রকাশ্যেই শুরু হয়েছে পাহাড় নিধন। কিছু অসাধু ঊধ্বতর্ন কর্মকর্তার ছত্রছায়ায় প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধিদের তত্ত্বাবধানে নবীগঞ্জ উপজেলার পাহাড়ি অঞ্চল হিসেবে খ্যাত দিনারপুর পরগণার পাহাড় কাটা অব্যাহত রয়েছে। কখনো গভীর রাতে আবার ভোরের সূর্য উদয় হওয়ার আগে আবার কখনো দুপুর কিংবা বিকাল বেলা সবার চোখের সামনে এমন কর্মকান্ড চলে আসছে। প্রভাবশালীদের ভয়ে পাহাড় কাটার প্রতিবাদ করতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন একাধিক সচেতন নাগরিক। পাহাড় কাটায় প্রশাসনের নিরবতা ভাবিয়ে তুলছেন শান্তপ্রিয় হবিগঞ্জ জেলাবাসীকে। স্থানীয় লোকজন জানান, যেইসব ব্যক্তিরা নিজেদের জনপ্রতিনিধি দাবী করেন সেইসব ব্যক্তিরাই পাহাড় কেটে মাটি বিক্রি করার টাকাতে ভাগ বসান। এদিকে টাইলস তৈরি করার মাটি প্রতি ট্রাক ১০/১৫ হাজার টাকা করে বিক্রি করা হয় ঢাকা গাজীপুর ও সাজিবাজার সিরামিক্স টাইলস কোম্পানির এজেন্টদের কাছে। দিনারপুর পরগণার পাহাড় কেটে সমতল করা চক্রের সদস্যরা প্রতি ট্রাক মাটি বিক্রির টাকা থেকে প্রশাসন এবং সাংবাদিকদের এব্যাপারে চুপ রাখার জন্য ২হাজার ৫শত টাকা দেন দিনারপুর পরগণার একজন ক্ষমতাসীন, প্রভাবশালী নেতাকে। এভাবেই কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে কু-চক্রী মহল। সবদিক গায়েল করে প্রকাশ্যেই চলছে পাহাড় কাটা। আসলেই কী প্রশাসন এবং সাংবাদিকরা ভাগ নিচ্ছে এনিয়ে জনমনে সৃষ্টি হচ্ছে নানা প্রশ্ন এবং সমালোচনা।