ছাতকে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত অর্ধশতাধিক

45

ছাতক থেকে সংবাদদাতা :
ছাতকে মসজিদের কমিটি ও ইমামের বেতন সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ অর্ধ শতাধিক লোক আহত হয়েছে। গুরুতর আহত ১১জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার দক্ষিন খুরমা ইউনিয়নের জাতুয়া গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রন করতে পুলিশ প্রায় ৭রাউন্ড ফাঁকাগুলি নিক্ষেপ করেছে। সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ১২জনকে আটক করেছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মসজিদের কমিটি ও ইমামের বেতন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ক’দিন ধরে জাতুয়া গ্রামের আকলন মেম্বার ও ফরিদ উদ্দিন পক্ষদ্বয়ের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। বুধবার ভোরে ফরিদ উদ্দিনের লোকজন রাস্তায় আকলন মেম্বারের উপর হামলা করলে উভয় পক্ষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা। এ ঘটনার জের ধরে বৃহস্পতিবার সকালে উভয় পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে নারীসহ উভয় পক্ষের প্রায় অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়। এর মধ্যে গুরুত আহত ফরিদ উদ্দিন (৪৮), ফকির আলম (৫৭), আয়াতুন নেছা (৪৫), আছদ্দর আলী (৪০) আব্দুল গফুর (২২), নুরুল হক (৩৩), আকামত আলী (৫৫), আল আমিন (১৭), মিয়া ধন আলী (৪৬), কলমধর আলী (৫৫) একরাম আহমদ (১৬)কে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষে কফিল উদ্দিন, শাহীন,আব্দুল কাহার, আজমত আলী, শফিকুন্নুর, সেলিনা বেগম, জাহানারা বেগম, আমীর আলী, ইসকন্দর আলী, এনাম, আব্দুর রহিম, মনির উদ্দিন, শফিউল্লাহ, দিলোয়ার হোসেন, জয়নাল আবেদীন, আজিজুর রহমান, জিল্লুর রহমান, তাজ উদ্দিন, রহমত আলী, আব্দুন নুর, জালাল আহমদ, রাশেদ আলী, শেলী বেগম, নাজমুল, রুশন আলী, সোহাগ, সোহেল মিয়া, জাহানারা বেগম, আছদ্দর আলীসহ অন্যান্য আহতদের স্থানীয় কৈতক হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। জাউয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইন্সপেক্টর নির্মল চন্দ্র দেব আটকের কথা স্বীকার করে জানান, সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণ করতে ৭রাউন্ড ফাঁকা গুলি নিক্ষেপ করা হয়েছে।