শ্রীমঙ্গলে হাইল হাওরে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, ৩ লাখ টাকার অবৈধ জাল জব্দ

52

শ্রীমঙ্গল থেকে সংবাদদাতা :
শ্রীমঙ্গলের বাইক্কাবিল হাইল হাওর এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে প্রায় তিন লাখ টাকার মাছধরার haworঅবৈধ জাল জব্দ করে পুড়িয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত। এ অভিযানে হাওরাঞ্চলে মাছের অবাধ চলাচল নিশ্চিত করা হয়েছে। অভিযানে অনেকটা মুক্ত হয়েছে মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার প্রায় দশ হাজার হেক্টরে বিশাল মৎস্যভান্ডারটি।
গতকাল শনিবার (১৪ নভেম্বর) সকাল ১০টা থেকে প্রায় ৪ ঘণ্টাব্যাপী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে বিলগুলো অবমুক্ত করা হয়। এতে আটকে থাকা মাছগুলো পুরো হাওরে অবাধে ছড়িয়ে পড়ার সুযোগ পাবে। জেলা ডেপুটি রেভিনিউ কালেক্টর (আরডিসি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কে এম সালাহউদ্দিনের নেতৃত্বে এ ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়।
মৌলভীবাজার নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট কে এম সালাইউদ্দিন বলেন, জাল দিয়ে মাছ নিজেদের দখলে আটকে রাখা সম্পূর্ণভাবে অবৈধ। এটি জলমহাল বন্দোবস্ত শর্তাবলীর পরিপন্থী। মাছের চলাচলে কোনো প্রকার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে মাছ ধরা যাবে না।
তিনি আরও বলেন, শ্রীমঙ্গল উপজেলার বেরি বিল দখলমুক্ত করতে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে প্রায় তিন লাখ টাকার অবৈধ জাল আটক করেছি। শ্যাওয়া বিল, কাঠালি বিল, বাষট্টি বিলের কারেন্ট জালগুলো জব্দ করে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। মৎস্যজীবী আব্দুল মমিন বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতের এমন অভিযান আমাদের প্রাণের দাবি। এর ফলে আটকে থাকা মাছগুলো পুরো হাওরে ছড়িয়ে পড়বে। আবার আমরা মাছ ধরে, বিক্রি করে পরিবার নিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে বেঁচে থাকতে পারবো। অভিযানের সময় উপস্থিত ছিলেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. নুরল হুদা, ৫ আনসার ব্যাটালিয়নের গ্র“প কমান্ডার এপিসি আবু দাউদ খান এবং শ্রীমঙ্গল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) লিটন ঘোষ।
এছাড়া মাছরাঙা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি রোকাম উদ্দিন, সম্পাদক সেলিম আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।