একটু রোদের ঝিলিকে দিরাইয়ে বৈশাখি ধান তুলতে ব্যস্ত কৃষাণীরা

118

দিরাই থেকে সংবাদদাতা :
টানা এক সপ্তাহ বৃষ্টির পর গতকাল রবিবার আকাশে রোদ উঁকি দিতেই কৃষকের পাশা পাশি কৃষাণীরাও নেমে গেছেন মাঠে তাদের সোনালী ফসল ঘরে আনতে। গতকাল কালিয়াগুটা হাওরে গেলে দেখা যায় ধান কাটায় শ্রমিকদের সাহায্যে নারীরা ও ধানের মুঠি জমি থেকে পাড়ে তুলছেন। কৃষাণী জরিনা বেগম বলেন ৭-৮ দিন ফরে রইদ উটছে, বাড়ির বেটাইন ধান কাটাত লাগছইন আমরা আইলাম তারাওে সায্য করতে  তারা ধান কাটরা আর আমরা ধানের আটা টাইননা পারো তুলছি, ইতে তারা অনেখ সায্য অইতাছে। আমরা গরীর মানুষ অই মাসই যত ফারা যায় রুজি করতাম, আগে বেশি দান খাটর লোক আইত অনে খুব খম লোক আয়, এর লাগি আমরার দেশো টাইম মত ধান কাটা যায় না। প্রান্তিক কৃষক আউয়াল মিয়া বলেন মেঘের লাগি ৬-৭ দিন বালাইলায় ধান খাটতা পারছিনা আজকো রইদ উটায় তাইনরেও (বউ)লইয়া আইলাম, আমার অনেখ সায্য অইতাছে। তাইস মুইট পারো তুলতাছইন। তাড়ল গ্রামের গৃহস্ত টিপু চৌধুরী বলেন আমার ঘরে অন্তত ৬-৭ শত মণ ধান রোদের অভাবে শুকাতে পারছি না, রোদ দেখে আজ ২থেকে আড়াইশ মণ ধান আজ শুকাতে দিয়েছি, যদি মেঘ আসে তবে আমার সর্বনাশ হয়ে যাবে, অনেক ধান কালো হয়ে নষ্ট হতে চলছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিকুর রহমান বলেন, একটানা সাত দিনের বেশি কালবৈশাখী ঝড়-বৃষ্টিতে দিরাইয়ের বরাম, উদগল, চাপতি, কালিয়াগুটাসহ অধিকাংশ হাওরের নিম্নাঞ্চলে বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে অন্তত ২ হাজার হেক্টর কাছা-পাকা ধান পানির নিচে তলিয়ে গেছে, এছাড়াও ধান কাটা শ্রমিকের রয়েছে অভাব, যার কারণে কৃষকরা পাকা ধানও কেটে তুলতে পারছেন না।