দিরাইয়ে জলাবদ্ধতার কবলে কৃষকের সোনালী ফসল

48

দিরাই থেকে সংবাদদাতা :
কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে দিরাইয়ের বরাম, উদগল, চাপতি, কালিয়াগুটা সহ অধিকাংশ হাওরের নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধায় অন্তত ২ হাজার হেক্টর পাকা-আধাপাকা ধান পানির নিচে তলিয়ে গেছে, তাছাড়া ধান কাটার শ্রমিকের অভাবে কৃষকের পাকা ধান কাটতে পারছেন না তারা, গতকাল শনিবার উপজেলার কালিয়াগুটা, বরাম ও চাপতির হাওরে গেলে কৃষকরা তাদের হতাশার কথা জানান।  চাপতি হাওর পারের কৃষক সাইফুর রহমান বলেন, আমি ৪ হাল জমিন করছি, ধান খাটবার লোক এবার আইছেনা, হখল ধান ফাখি গেছে, ফরতি দিন মেঘ দেয়, আওরো খালি পানি বাড়তাছে, ফাখনা ধান খেতের মাঝে নষ্ট অইজার, অতো টেখা খরছ খইরা গিরস্তি খরলাম, অনে আমও যাইবো ছলা ও যাইব কিলা ধান খাটতাম বড় কষ্টে আছি। উদগল হাওর পারের কৃষক আজাদ মিয়া বলেন, খেত খইরা বিফদে ফরছি, দান খাটার লোক নাই, ফরদি দিন মেঘ দেয় আওরো ফানি খালি বাড়র, ফাখনা ধান খাটতা ফারতাছিনা এছর, যে টেখা খরছ খইরা খেত খরছিরাম মনে অয় ওই টেখারই ধান ফাইতামনা। বরাম হাওর পারের কৃষক সামছুল হক বলেন, আমরার বোয়লিয়া তুফান খালি বাঁধের অবস্থা ভালা না, ফরতি দিনের মেঘের পানিতে অনেখ জমিন বুরি গেছে যেতা আছে ধান খাঠার লোকের অভাবে ফাখনা ধান খাটতে ফারছিনা। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ শফিকুর রহমান বলেন, আজ আমি কালিয়াগুটাহাওর সহ কয়েকটি হাওর ঘুরেছি, কয়েক দিনের বৃষ্টিতে বিভিন্ন হাওরের জলাবদ্ধতায় অন্তত ২ হাজার হেক্টর জমির ফসলের ক্ষতি হয়েছে, কৃষকরা জানিয়েছেন ধান কাটর শ্রমিকের অভাবে ধান কাটতে পারছেন না তারা, এখনো অর্ধেক ধান কাটা হয়নি। দিরাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান তালুকদার বলেন গত ২-৩ দিনে আমি কয়েকটি হাওর দেখতে গিয়েছি, অধিকাংশ হাওরের নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধার সৃষ্টি হয়েছে, কৃষকরা জানিয়েছেন শ্রমিকের অভাবে পাকা ধান কাটতে পারছেন না তারা।