কেউ না এলেও নির্বাচন করতে হবে – সিইসি

24

কাজিরবাজার ডেস্ক :
দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে কবে নাগাদ ঢাকা সিটি করপোরেশন (ডিসিসি) নির্বাচন করা হবে, তা নিয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেনি নির্বাচন কমিশন। তবে ৫ জানুয়ারির মতো কেউ না এলেও ডিসিসি নির্বাচন করতে হবে বলে জানান  প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমেদ (সিইসি)।
গতকাল রবিবার বিকাল সোয়া ৩টার দিকে  নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে সিইসি একথা বলেন।
নির্বাচন কবে হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “দেশে এসএসসি পরীক্ষা চলছে। সামনে এইচএসসি পরীক্ষা ও রমজান মাস আসছে। রমজান মাসে আমরা নির্বাচন এভয়েড করে থাকি। এসব কিছুর সঙ্গে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে নির্বাচন করা হবে।”
তিনি বলেন, এছাড়া বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে ল এনফোর্সমেন্ট এজেন্সির সঙ্গে আলাপ করে জানতে পারবো নির্বাচন করতে পারবো কিনা।
তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে নির্বাচনের জন্য ইসি বসে থাকবে না। কেউ না এলেও নির্বাচন করতে হবে বলেও তিনি জানান।
গত ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব দল অংশ না নিলেও নির্বাচন হয়েছে, এবার ডিসিসি নির্বাচনের ক্ষেত্রেও এরকম কিছু ঘটবে কি না জানতে চাইলে সিইসি বলেন, “৫ তারিখের নির্বাচনে আমরা সবাইকে অংশ নিতে বলেছিলাম। ডিসিসি নির্বাচনেও আমরা সবাইকে ডাকবো। নির্বাচনতো আমাদের করতেই হবে। তাছাড়া ঢাকাবাসীর সঙ্গে আমরাও চাই ডিসিসি নির্বাচন হোক। কেউ না এলেও নির্বাচন করতে হবে।”
তিনি আরো বলেন, দক্ষিণে সীমানা জটিলতা সংক্রান্ত যে সমস্যা ছিল তার সমাধান হয়েছে। এখন আর আমাদের সামনে কোনো আইনি বাধা থাকছে না।
১০ মার্চের পর তফসিল ঘোষণার বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের প্রাথমিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে ১০ মার্চ পর্যন্ত সময় লাগার কথা বললেও এর আগেই প্রস্তুতি শেষ করার জন্য চাপ দিয়েছি।
প্রাথমিক প্রস্তুতি হিসেবে আমাদেরকে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা, ভোট কেন্দ্র ঠিক করাসহ আরো অনেক কিছুই করতে হবে।
তিনি বলেন, ভোট কেন্দ্রের জন্য স্কুল-কলেজই ভরসা। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সব সময় আমাদের সাপোর্ট করে থাকে আপনার জানেন। এখন পরীক্ষা চলছে। পরীক্ষার সময় এক রকম চেয়ার টেবিল সাজানো থাকে। পরে চেয়ার টেবিল আবারও ওলট-পালট করতে হয়। এ কারণে একটি গ্যাপের প্রয়োজন হয়।
এছাড়া প্রোলিং অফিসার, পিজাইডিং অফিসারদের ট্রেনিং দিতে সময় লাগে। কাজেই কিছুটা সময় আমদের লাগবে। এ বিষয়ে আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয় সঙ্গে বসবো, বড় না হলেও মাঝারি সাইজের একটি গ্যাপ যদি দেখি, তার মধ্যে নির্বাচন করে ফেলবো। ক্রিকেটার যেমন একটা গ্যাপ খোঁজেন। তেমন একটি গ্যাপ চাই আমাদের। স্কুল কলেজ ছাড়া আমাদের উপায় নেই। সব কিছু মিলিয়ে ভাবতে হবে।
বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনী নামানো হবে কিনা জানতে চাইলে বলেন, সিটি নির্বাচনে এর আগে সেনাবাহিনী নামানোর দরকার হয়নি। এবারও নামানোরে দরকার হবে না বলে আশা করি।
তবে তফসিল ঘোষণার পর রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে দেখা হবে।
এ নিয়ে আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বসবো। কোথায় র‌্যাব, পুলিশ, বিজিবি মোতায়েন কিংবা কত লোক দিতে হবে সেগুলো নিয়ে আলোচনা করা হবে। এর আগের নির্বাচনে তফসিল ঘোষণার পর তাদের সঙ্গে আলাপ করেছি। এবার তফসিল ঘোষণার আগেও বসতে পারি, পরেও বসতে পারি।
সিইসি বলেন, এসএসসি পরীক্ষা চলছে, ১ এপ্রিল থেকে এইচএসসি শুরু হবে। এরপরই রোজা। আমরা নির্বাচনের সময় রোজা এভয়েড করে থাকি। এসব বিষয় নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসবো।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ১৮০ দিন সময়সীমা আছে। এর মেয়াদ শেষ হবে ২৫ জুলাই। নির্বাচন এই ১৮০ দিনের মধ্যেই করতে হবে। ফলে রোজার আগেই হচ্ছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন।
ডিসিসি ও চসিক নির্বাচন একসঙ্গে করার বিষয়ে বলেন, এর আগে চার সিটি নির্বাচন এক সঙ্গে করেছি। এ বিষয়টিও মাথায় রাখবো।