পৌষ-সংক্রান্তি উৎসব পালিত

160

sandipanbasumunna_1291165834_2-2010-01-19__cul3-300x207স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেটের ঘরে ঘরে গতকাল বৃহস্পতিবার পৌষ পার্বণ অর্থাৎ পৌষ সংক্রান্তি উৎসব পালিত হয়েছে। বাংলার পৌষ মাসের শেষ দিনে আয়োজন করা হয় এই উৎসবের। এ উৎসবে প্রতিটি সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ঘরে ঘরে চলে খুশির আমেজ। ফলে হিন্দু সম্প্রাদায়ের প্রতিটি বাড়িতে পিঠা-পুলি তৈরী ও খাওয়ার ধুম পড়ে। সংক্রান্তির দিনে সকালে পিঠা-পুলি, পায়েস, দই-চিড়া, তিলু-কদমা আর নকুল-বাতাসার পাশাপাশি বিভিন্ন ফলমূলের আয়োজন হয়ে থাকে। শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধরাও আত্মীয়সহ প্রতিবেশীর বাড়ি যান। আর কিশোররা ঘুড়ি উড়ানোর প্রতিযোগিতায় মেতে উঠে। যদিও সিলেটে আজকাল কিশোরদের ঘুড়ি উড়ানোর প্রতিযোগিতা বড় একটা দেখা যায় না। পৌষ পার্বণ হলো বাঙালির ঐতিহ্য। একে আবার অনেকে ‘মকর সংক্রান্তি’ও বলে থাকেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা পৌষ-সংক্রান্তি উপলক্ষে ঢাক-ঢোল বাজিয়ে রাধারাণীকে নিয়ে প্রতিটি মন্দির থেকে বৈঞ্চবরা নগর কীর্তন নিয়ে বের হন। সেখানে থাকে এ উৎসবের মূল আনন্দ।
জানা গেছে, প্রাচীন মহাকাব্য মহাভারতেও এই দিনের তাৎপর্য সম্পর্কে উল্লেখ রয়েছে। পৌষ সংক্রান্তিতে মূলত নতুন ফসলের উৎসব ‘পৌষ পার্বণ’ উদযাপিত হয়। নতুন ধান, খেজুরের গুড় এবং পাটালি দিয়ে বিভিন্ন ধরনের ঐতিহ্যবাহী পিঠা তৈরি করা হয়,যার জন্য প্রয়োজন হয় চালের গুঁড়া, নারিকেল, দুধ আর খেজুরের গুড়। পৌষ সংক্রান্তির মাধ্যমে আমরা পৌষ মাসকে বিদায় জানাই ও মাঘ মাসকে আলিঙ্গন করি। সংক্রান্তির দিনে বাংলার বধূরা নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী বিভিন্ন নকশা ও সুস্বাদু পিঠা তৈরী করেন। পঞ্জিকা মতে, পৌষ সংক্রান্তি পালিত হয় পৌষ মাসের শেষ দিন। জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে শুরু হয় এই দিন। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রচলিত বাংলা দিনপঞ্জির সাথে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পঞ্জিকার ব্যবধান দু’দিনের। তাই পৌষ সংক্রান্তি হয় দেশের প্রচলিত বাংলা দিনপঞ্জির মাঘ মাসের ২ তারিখ। ধর্মীয় গুরুত্বের জন্য বিভিন্ন স্থানে এ দিবসটিতে কীর্তন, পালা গানেরও আয়োজন করা হয়ে থাকে।