মাইক্রোবাসে দু’সন্তানের জননীকে ধর্ষণের ঘটনায় ৬ দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে মামলা

25

স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীতে অস্ত্র ঠেকিয়ে কালো গ্লাসের মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে দুই সন্তানের জননীকে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়ছে। নির্যাতিত গৃহবধূ নাছিমা বেগম বাদি হয়ে ৪ দুর্বৃত্তের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞতনামা আরো ২ জনকে আসামী করে কোতোয়ালী থানায় ধর্ষণ ও সহায়তার অপরাধ এনে এ মামলাটি দায়ের করেন। নং- ১১ (০৯-১২-১৪)। কোতোয়ালী থানার ওসি মোঃ আসাদুজ্জামান মামলাটি দায়িত্ব দিয়েছেন থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই শাহ মোহাম্মদ মুবাশ্বিরকে।
মামলার আসামীরা হচ্ছে- বিয়ানীবাজার থানার মাটিজোরা গ্রামের মস্তাকিম আলী মাষ্টারের পুত্র অহিদুর রেজা মাসুম (৩৫), একই এলাকার জালাল উদ্দিনের পুত্র জবলু (৩০), একই থানার গুঙ্গাদিয়া মালিগ্রামের সুলু মিয়ার পুত্র মস্তাক আহমদ (২৫) ও দোবাগ দক্ষিণের হবিবুর রহমানের পুত্র আশফাক হোসেন খসরু (৩৫)।
কোতোয়ালী থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই শাহ মোহাম্মদ মুবাশ্বির জানান, মামলাটি তদন্ত চলছে। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত আসামী কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। আসামীদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, বিয়ানীবাজার থানার মাটিজোরা গ্রামের তাজ উদ্দিনের স্ত্রী বর্তমানে টিলাগড় গোলাপবাগের ৮২ নং বাসার বাসিন্দা নাছিমা বেগম (২৮) তার ছেলে নুরুল আমিন ও আলামিনকে নিয়ে গত ৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সবজি কিনতে সোবাহানীঘাট সবজিবাজারে যান। সেখানে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা ৬ দুর্বৃত্ত মামলা-মকদ্দোমার জের ধরে গৃহবধূ নাছিমা ও তার দুই ছেলের মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে কালো গ্লাসের হাইএস মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে তাকে চড়থাপ্পড় মেরে গালিগালাজ করে। এ সময় তাদের উপর থেকে মামলা তুলে নেয়ার হুমকি দেয় দুর্বৃত্তরা। এক পর্যায়ে চলন্ত গাড়ীতে সন্তানের সামনে অহিদুর রেজা মাসুম নাছিমা বেগমকে ধর্ষণ করে। প্রায় ৪/৫ ঘণ্টা নাছিমাকে নির্যাতন করে নগরীর বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ওইদিন রাত সাড়ে ১১ টার দিকে দুর্বৃত্তরা ওসমানী শিশু পার্কের সামনে তার ২ ছেলেসহ তাকে নামিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে নাছিমাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। উল্লেখ্য, গত ১১ নভেম্বর অহিদুর রেজা মাসুম ও জবলু নামের ২ লম্পটের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে নাছিমা বেগম একটি মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে মামলাটি উক্ত আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।