নগরী ও শহরতলীতে চুরি-ডাকাতি বৃদ্ধি, পাড়া-মহল্লায় রাত জেগে পাহারা ॥ লুট হওয়া মালামাল উদ্ধার হয় না ॥ অপরাধীরা ধরা পড়ে কম

77

সিন্টু রঞ্জন চন্দ :
সিলেট নগরী ও শহরতলীর মেট্রোপলিটন এলাকায় সাম্প্রতিককালে চুরি-ডাকাতির ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতংক ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। বিভিন্ন পাড়া মহল্লা ও গ্রামে রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন লোকজন। এসব এলাকায় রাতের বেলা পুলিশের টহল থাকলেও তাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাসা-বাড়িতে থাকা বসবাসকারীরা। ডাকাতরা নির্বিঘেœ ঘরের দরজা, জানালা ও কলাপসিপল গেট ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে বাসার সবাইকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে মালামাল নিয়ে যাচ্ছে।
সাধারণ লোকজনের অভিযোগ, হয়তো লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধার হওয়াতো দূরের কথা জড়িত অপরাধীদের পুলিশ গ্রেফতার কিংবা শনাক্ত করতেও পারছে না।
পুলিশের দাবী, পুলিশের সংখ্যা কম থাকায় এ সব অপরাধ দমনে অনেকটা সম্ভবপর হয়ে উঠে না। অপরাধীদের দমন করতে পুলিশের সংখ্যা বাড়ালে এসব অপরাধ অনেকটা কমে আসবে। তাছাড়া পুলিশী টহল এক দিকে দিলেও অন্য দিকে পুলিশ আসার পূর্বেই চোর ও ডাকাতরা অপরাধ করে পালিয়ে যাচ্ছে। ফলে অপরাধীদের ধরতে ও মালামাল উদ্ধার করতে অনেকটা হিমশিম খেতে হয়। তবে, পুলিশ বলছে, ডাকাতির সাথে জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং ধরাও পড়ছে অপরাধীরা। অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, গত ২৬ নভেম্বর রাত ২ টার দিকে দক্ষিণ সুরমার পিরিজপুরের ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিনের বাড়ির ঘরের দরজা ভেঙে ২০/২২ জন মুখোশধারী ডাকাত প্রবেশ করে। এরপর ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিনের ভাই নাজির উদ্দিনকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ঘরে থাকা নগদ ৩০ হাজার টাকা, মোবাইল ফোন সেট ও মূল্যবান জিনিসপত্র লুটে নেয়। এর প্রতিবাদে এলাকার স্থানীয় লোকজন পরদিন সাড়ে ১০টা থেকে প্রায় এক ঘণ্টা সিলেট-সুনামগঞ্জ বাইপাস সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।
গত ২৩ নভেম্বর রাত আড়াই টার দিকে দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মোল¬ারগাঁও ইউনিয়নের গোপশহরে আমেরিকা প্রবাসী তৈমুজ আলীর বাড়ীতে দুর্ধর্ষ ডাকাতরা ছয়টি কক্ষ তছনছ করে নগদ টাকাসহ ৭ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে। ওইদিন রাতে ২০/২৫ জনের একটি ডাকাত দল বাড়ীর গ্রীল এবং দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে। এ সময় তার ছেলে আব্দুর রকিব বাধা দিলে ডাকাতরা তাকে মারধর করে। পরে তৈমুজ আলী, রকিব, তৈমুজের মেয়ে রাহেনা বেগম ও মেয়ের জামাই মিসবাহকে বেঁধে ফেলে ডাকাতরা। তারা বাসার ৬টি কক্ষ তছনছ করে নগদ আড়াই লাখ টাকা, ৪শ ডলার, ৫ ভরি স্বর্ণ, ৮টি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ ও একটি হাতঘড়ি নিয়ে পালিয়ে যায়।
গত ৮ নভেম্বর রাত সাড়ে ৩ টায় শিবগঞ্জ সাদিপুর এলাকার ৪৬ নং লন্ডন প্রবাসী আব্দুল মতিনের বাসায় মুখোশধারী ডাকাতরা বাড়ির লোকজনকে বেঁধে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ১৬ ভরি স্বর্ণ, ১২শত পাউন্ড, সাড়ে ৭শত রিয়াল, নগদ ৮০ হাজার টাকা, ৭টি দামি মোবাইল সেট, ১টি ল্যাপটপসহ মূল্যবান জিনিসপত্রসহ ১৫ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
গত ৭ নভেম্বর রাত ৪ টার দিকে নগরীর শিবগঞ্জ সেনপাড়ায় ব্যবসায়ী নিজাম আহমদ চৌধুরীর পুষ্পায়ন ৫৮ নং বাসার বিদ্যুৎ ও টেলিফোন লাইন বিচ্ছিন্ন করে অস্ত্রধারী ডাকাতরা পরিবারের লোকজনকে বেঁধে ও অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে আলমিরা খুলে লুটে নেয় প্রায় ২০ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ ২ লক্ষাধিক টাকা, হীরার আংটি, দামী ঘড়িসহ প্রায় ১৪ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
গত ১৪ নভেম্বর ভোর রাতে নগরীর শিবগঞ্জ সেনপাড়ার পুষ্পায়ন ৮৭/১ নম্বর মহসিন চৌধুরীর বাসার সিসি ক্যামেরা ও লাইট কাপড় দিয়ে ঢেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ডাকাতরা। একপর্যায়ে এলাকার লোকজন ডাকাতদের ঘিরে ধরেন। তারা ডাকাত দলের চার সদস্যকে ধরে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেন। গণপিটুনিতে গুরুতর আহত হওয়ায় ডাকাতদের সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গণপিটুনির শিকার ইকবাল ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাপসাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। এ সময় গুরুতর আহত হয় আরও তিন ডাকাত।
গত ৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে দক্ষিণ সুরমা উপজেলার লালাবাজার ইউনিয়নের ভরাউট (রাজিবাড়ী) গ্রামের ব্যবসায়ী আব্দুল হান্নানের বাড়ীতে ৮/৯ জনের সংঘবদ্ধ ডাকাত দল ঘরের জানালা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে পরিবারের লোকজনকে ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জিম্মি করে ২০ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ ১০ হাজার টাকা, ২টি মোবাইল সেট সহ ৮ লক্ষাধিক টাকার মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায়।
একইদিন গভীর রাতে নগরীর টিলাগড়ের গোপালটিলার ৭৩/২নং দীপক রায়ের বাসায় একদল ডাকাত দল হানা দেয়। ডাকাতরা বাসার দরজা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে বাসার লোকজনদের জিম্মি করে ফেলে। এরপর ডাকাতরা বাসার আলমিরা থেকে ৩ ভরি স্বর্ণ, নগদ ৩৫ হাজার টাকা, দামী মালামালসহ প্রায় ২লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
গত ২৮ অক্টোবর রাত ৩ টার দিকে দক্ষিণ সুরমা থানার করসনা গ্রামের তোতা মিয়ার পুত্র লিলু মিয়ার বাড়িতে ১৫/১৬ জনের সশ্রস্ত্র একদল ডাকাত তাদের বাড়িতে হানা দেয়। এ সময় ডাকাতরা বাড়ির লোকজনকে মারধর করে ১০ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ ৮৫ হাজার টাকা ও ৩টি মোবাইলসেটসহ ৫ লাখ ৯১ হাজার ১শ’ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
গত ১৩ নভেম্বর বিকেল সাড়ে ৪টায় দক্ষিণ সুরমা মোগলাবাজার এলাকার তিরাশি গ্রামে ফার্ণিচার ব্যবসায়ী দেলওয়ার মিয়া বাড়ির পিছনের দরজা দিয়ে ঢুকে ৮/১০ জন ডাকাত ঘরে থাকা ৩ জন মহিলার হাত-পা বেঁধে ফেলে। তাদেরকে বাধা দিলে আফসা বেগম (৪৭) ও জেএসসি পরীক্ষার্থী সুমাইয়া (১৫)কে ছুরিকাঘাতে করে আহত করে ডাকাতরা। এ সময় ডাকাতরা নগদ ৩ লাখ টাকা, তিন ভরি স্বর্ণালংকার, ৩টি মোবাইল সেটসহ অন্যান্য জিনিসপত্র ডাকাতি করে নিয়ে যায়।
গতকাল ৪ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৩ টার দিকে দক্ষিণ সুরমার গোটাটিকর (কৃষ্ণপুর) শিববাড়ি কিষানপুর শ্রী শ্রী রাধামাধব জিউর দেবতা মন্দিরে দুর্ধর্ষ চুরি সংঘটিত হয়েছে। দুর্বৃত্তরা ওই মন্দিরের পশ্চিমের গ্রীল কেটে মন্দিরের তালা খোলে ভেতরে প্রবেশ করে। এ সময় চোররা একটি বড় বিষ্ণু মূর্তি, রাধা রাণীর নেকলেস, হাতের বালা,কানের দুল ও ৪ হাজার টাকার দান বাক্্র চুরি করে নিয়ে যায়। গতকাল শুক্রবার ভোর ৫টায় মন্দিরে সেবাহিত বৈষ্ণব বিশ্বরূপ গোস্বামী ঘুম থেকে জেগে উঠে দেবতার ঘর এলোমেলো দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজনকে খবর দেন। চোর দল ঘটনাস্থলে একটি বড় রেঞ্জ ও রড এবং একটি ট্রাউজার প্যান্ট ফেলে যায়। এ ঘটনায় মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে মোগলাবাজার থানায় একটি জিডি এন্ট্রি করা হয়েছে।
গত ১১ নভেম্বর নগরীর শিবগঞ্জ মজুমদারপাড়ায় সন্ধ্যা রাত ৭টার দিকে সোনালী ১১নং বাসার মালিক তালা মেরে তার মাকে নিয়ে ডাক্তারের চেম্বারে আসেন। এ সুযোগে চোরদল পেছনের জানালার গ্লাস ও গ্রিল ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে। চোরেরা স্টীলের আলমিরা ভেঙ্গে লুটে নেয় নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, মূল্যবান কাপড় চোপড়সহ প্রায় ৫ লাখ টাকার মালামাল। রাত ১০টার দিকে বাসায় ফিরে সবকিছু এলোমেলো দেখতে পান বাসার মালিক।
গত ৫ নভেম্বর ভোর ৪টার টার দিকে গোপালটিলাস্থ ২নং রোডের ৭৩নং বাসায় নীচ তলার চুরি সংঘটিত হয়। তালা ভেঙ্গে ও জানালার গ্রিল কেটে চোরেরা নগদ ৩৫ হাজার টাকা ও ৩ ভরি স্বর্ণ এবং ব্যবহারী কাপড় চোপরসহ আনুমানিক ১লক্ষ ৭৫ হাজার টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। ভাড়াটিয়া বাসার মালিক দীপক রায় জানান, আমি সিলেটের বাহিরে ছিলাম। আমার স্ত্রী আমাকে ফোনে জানালে আমি এসে ঘটনাটি দেখে বাসার আশপাশের লোকজনকে ডেকে এনে অবগত করে শাহপরান থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি।
৬ নভেম্বর সন্ধ্যা ৭ টার দিকে নগরীর শিবগঞ্জ সোনারপাড়ার নবারুন ২৩০ নং বাসার মৃত শরীফ কামালের পুত্র মোটর সাইকেল মালিক মোঃ মাশরাফুদ্দিন হায়দার শাহজালাল উপশহর মেইন রোডের বেস্টবাই দোকানের সামনে তার (সিলেট-থ-১১-২৬২১) নম্বর লাল পালসার মোটর সাইকেল রেখে কেনাকাটা করতে যান। কেনাকাটা শেষ করে দেখতে পান যথাস্থানে তার মোটর সাইকেলটি নেই। কেনাকাটার সুযোগে কে বা কারা তার মোটর সাইকেলটি চুরি করে নিয়ে গেছে। পরে তিনি আশপাশ এলাকায় খোঁজাখুঁজি করে তার মোটর সাইকেলটি না পাননি। ঘটনায় মোঃ মাশরাফুদ্দিন হায়দার বাদি হয়ে শাহপরান থানায় অজ্ঞাতনামা আসামী করে এশটি চুরির মামলা দায়ের করেন। দুই দিন পর চুরি হওয়া (সিলেট-থ-১১-২৬২১) নম্বর লাল পালসার মোটরসাইকেল দক্ষিণ সুরমা উপজেলার জালালপুর থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় পুলিশ মোটর সাইকেল চোর সিন্ডিকেটের ২ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে।
গত ১১ নভেম্বর ভোর রাতে নগরীর মীরাবাজার আগপাড়া, মৌসুমী আ/এ ৯৯নং বাসা থেকে ২টি মোটর সাইকেল চুরি হয়। সিলেট-ল-১১-৫৯১৮ টিভিএস ও সিলেট-হ-১৩-৬৮৭১ ডিসকভার ২টি মোটর সাইকেল বাসার গ্যারেজের তালা ভেঙ্গে চোরেরা চুরি করে নিয়ে যায়। এ চুরির ঘটনায় মোটর সাইকেলের মালিক এস এম আবু হোসেন বাদী হয়ে কোতোয়ালী থানায় একটি জিডি এন্ট্রি করেন।
গত ৭ নভেম্বর রাত সাড়ে ১২ টার পর যেকোন সময় সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ১৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ নজরুল ইসলাম মুনিমর মালিকানাধীন লালদীঘিরপাড়স্থ নতুন হকার্স মার্কেটে চোর চক্ররা তার দোকনের ৮০টি সাঁটার চুরি করে নিয়ে যায়। যার দাম ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা। এ ব্যাপারে কাউন্সিলর মোঃ নজরুল ইসলাম মুনিম বাদি হয়ে তাদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালী থানায় একটি চুরির মামলা দায়ের করেন। এর পর পুলিশ ৩ চোরকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠায়। কিন্তু চুরি হওয়া দোকানের কোন সাঁটার উদ্ধার করতে পারেনি।
গত ১১ নভেম্বর টার্মিনাল রোডের ভার্থখলায় অবস্থিত মেসার্স খালেদ এন্ড ব্রাদার্স নামীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী কিশোরগঞ্জ জেলার মোল্লাপাড়া গ্রামের আব্দুল কাদিরের পুত্র নাঈম (২৫) লোকচক্ষুর আড়ালে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ভেতর ক্যাশ বাক্স থেকে নগদ দুই লক্ষ ৭০ হাজার টাকা ও ৪৫ হাজার টাকার স্যানিটারী মালামালসহ চুরি করে নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় মেসার্স খালেদ এন্ড ব্রাদার্স এর স্বত্ত্বাধিকারী গোলাপগঞ্জ উপজেলার বরায়া হাজীপুর গ্রামের মজাহিদ আলীর ছেলে খালেদ আহমদ বাদী হয়ে নাঈমের বিরুদ্ধে ১২ নভেম্বর লিখিত অভিযোগ প্রদান করেন।
গত ২৭ নভেম্বর গভীর রাতে শহরতলীর খাদিম সুরমা গেইটের পার্শ্ববর্তী খিদিরপুরে সংঘবদ্ধ চোররা গ্যারেজের তালা ভেঙ্গে (সিলেট থ ১২-৬০৬৫) নম্বর সিএনজি অটোরিক্সা চুরি করে নিয়ে যায়। সিএনজি অটোরিক্সার মালিক খিদিরপুর গ্রামের মৃত ময়না মিয়ার স্ত্রী রেনু বিবি। পরদিন রেনু বিবির পুত্র আলী হায়দার শাহপরাণ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
গত ২৫ নভেম্বর রাত সাড়ে ৩ টার দিকে এক দল চোর মেজরটিলার শ্যামলী আবাসিক এলাকার রতœা ভিলার ১২১ নং হামিদুর রহমান চৌধুরীর বাসার কিচেন রুমের গ্রীল কেটে চোররা ঘরে প্রবেশ করে। এ সময় চোররা কৌশলে আলমিরা থেকে ৭/৮ ভরি স্বর্ণালংকার চুরি করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় হামিদুর রহমান চৌধুরী বাদি হয়ে শাহপরান থানায় একটি চুরি মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ এক কিশোরকে আটক করে জেলে পাঠায়। কিন্তু পুলিশ চুরি হওয়া কোন স্বর্ণালংকার উদ্ধার করতে পারেনি। তবে এর বাহিরেও ডাকাতি ও চুরির ঘটনাটি জামেলা এড়ানোর জন্য ভোক্তভোগিরা অনেক সময় থানায় মামলা বা জিডি না করায় তা প্রকাশ পায়নি।