সাদিপুরে চাঁদা দাবী ও গাছ কাটার মামলা ॥ টুলটিকর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

89

স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীর উপকন্ঠে সাদিপুর প্রথম খন্ডের ১৫ শতক জায়গার দখল নিতে চাঁদা দাবী ও গাছ কাটার দায়েরকৃত মামলায় টুলটিকর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল মছব্বির ও তার ভাই আব্দুল বশারসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করা হয়েছে। গত বুধবার শাহপরান থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) মোঃ আব্দুছ ছাত্তার সিলেটের হাকিম আদালতে তাদের বিরুদ্ধে এ চার্জশিট (অভিযোগপত্র/নং-১৭৮) দাখিল করেন।
চার্জশিটে অভিযুক্ত আব্দুল মছব্বির ও তার ভাই আব্দুল বশার ছাড়া অন্যরা হচ্ছে- নগরীর দক্ষিণ বালুচর পুষ্পায়ন ৩০ নং বাসার মৃত বাবরু মিয়ার পুত্র ছমরু মিয়া (৫৫), নগরীর উত্তর বালুচর জোনাকী আবাসিক এলাকার ফরমুজ আলীর পুত্র বাবুল আহমদ বাবু (৩২), একই এলাকার জোনাকী ১২/বি নং বাসার মৃত আব্দুল মন্নানের পুত্র মোঃ আনোয়ার পারভেজ ওরফে আনোয়ার (৩০), জোনাকী আবাসিক এলাকার মৃত মির্জা তোতা মিয়ার পুত্র সোয়েব আহমদ সোয়েন (৩০), একই এলাকা ১৩/১ নং বাসার আক্কাস মিয়ার পুত্র রিপন মিয়া (৩৫), নগরীর সেনপাড়া পুষ্পায়ন ৪০ নং হক ভিলার চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল মছব্বিরের পুত্র টিপু (২৭) ও দক্ষিণ বালুচর পুষ্পায়ন ৩০ নং বাসার ছমরু মিয়ার পুত্র আমিনুল হক (৩০)। চার্জশিটে ৯ জনকে সাক্ষী ও ২টি আলামত রেখে অভিযোগপত্রে নগরীর সেনপাড়ার হিরুকে অব্যাহতি দেয়ার আবেদন জানানো হয়েছে।
অভিযোগপত্র (চার্জশিট) থেকে জানা গেছে, নগরীর উপকন্ঠে সাদিপুর প্রথম খন্ডে চলমান জরিপী ১০৩১ নং খতিয়ানের ১০২৩ নং দাগের টিলারকম ১৫ শতক ভূমি রেকর্ডীয় ও মৌরসী সূত্রে মালিক ছিলেন মোঃ দিনাজ্জামান দিনারুজ্জমান। তিনি বিয়ানীবাজার ছোটদেশ গ্রামের মৃত হাজী কুতুব আলীর পুত্র ও বর্তমানে উত্তর বালুচর আল-ইসলাম এলাকার বাসিন্দা আব্দুল হাছিব ও আব্দুল মালিকের কাছে ১৯৯৮ সালের ১৬ নভেম্বর ১৩৫৪৩ নং দলিল মুলে ওই ভূমি বিক্রি করে দেন। পরবর্তীতে এ ভূমি আব্দুল হাছিব ও আব্দুল মালিক ৯৩১৬/১৪ নং দলিল মূলে বালুচর ফোকাস ২৮/সি নং বাসার মৃত শেখ মনির উদ্দিনের পুত্র শেখ মোঃ গয়াছ উদ্দিনের কাছে ওই ১৫ শতক ভূমি বিক্রি করে দেন। পরে মোঃ গয়াছ উদ্দিন এ ভূমি ভোগদখল করতে থাকেন। মোঃ গয়াছ উদ্দিন এ ভূমি ভোগদখলে থাকাকালে আব্দুল মছব্বিরের সহায়তায় অন্যান্য আসামীরা বিভিন্ন ভাবে উক্ত ভূমি দখল করার অপচেষ্টা করতে থাকে। গত ২৯ আগষ্ট বেলা আড়াই টার দিকে আব্দুল মছব্বির, আবুল বশার, ছমরু মিয়া, বাবুল আহমদ বাবু, মোঃ আনোয়ার পারভেজ ওরফে আনোয়ার, সোয়েব আহমদ সোয়েব, রিপন মিয়া, টিপু আমিনুল হকসহ অজ্ঞাতনামারা উক্ত ভূমিতে প্রবেশ করে অন্যায় ভাবে ১ লাখ ২০ হাজার টাকার রেন্টি, করই ও কদম এবং ৫০ হাজার টাকা দামের ১৭০টি বিভিন্ন প্রজাপতির ছারা গাছ কেনে ক্ষতিসাধন করে। এ সংবাদ পেয়ে মোঃ গয়াছ উদ্দিনের ভাতিজা জাহাঙ্গীর আলম তাদের বাধা দিলে দুর্বৃত্তরা তখন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাকে মারপিট করা উদ্যত হলে প্রাণ ভয়ে তিনি চলে আসেন। আব্দুল মছব্বির পরে বিষয়টি সমাধানের জন্য আব্দুল মছব্বির জাহাঙ্গীর আলমকে জানান। এর প্রেক্ষিতে জাহাঙ্গীর আলম ও ফখর উদ্দিন গত ৩০ আগষ্ট সন্ধ্যা ৬ টার দিকে আব্দুল মছব্বিরের বাসায় যাওয়ার পর তার কাছে তারা ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করেন এবং তাকে জানিয়ে দেন। যদি দাবীকৃত চাঁদা দিচ্ছ তাহলে উক্ত ভূমি ভোগদখলে আমরা কোন প্রকার বাধা সৃষ্টি করব না নতুবা উক্ত ভূমি দখল করে ফেলার হুমকি দেন আব্দুল মছব্বির গংরা। এ ঘটনায় মোঃ গয়াছ উদ্দিন বাদি হয়ে আসামীদের বিরুদ্ধে গাছ কাটা ও চাঁদা দাবীর অভিযোগ এনে শাহপরান থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। নং- ৬ (১১-১০-১৪)।