সিলেটে ২ মাদক ব্যবসায়ীর ৫ বছরের সশ্রম কারাদন্ড

6

স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেটে মাদক মামলায় ২ মাদক ব্যবসায়ীর ৫ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও অপর সিএনজি অটোরিকশা চালককে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি দন্ডপ্রাপ্ত আসামীদেরকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো ৩ মাসের বিনাশ্রমে কারাদন্ড দেয়া হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৩য় আদালতের বিচারক মিজানুর রহমান ভূঁইয়া এ রায় প্রদান করেন। গতকাল ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী সৈয়দ আনোয়ারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দন্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হচ্ছেন- হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং থানার রতনপুর গ্রামের মো: উজির মিয়া উরফে জামিল মিয়ার পুত্র রমজান আলী উরফে শাহিন (৪০) ও এই জেলার চুনারুঘাট থানার হাতুন্ডা গ্রামের মৃত আব্দুল মতলিবের পুত্র আব্দুল শহিদ (৪২) এবং খালাসপ্রাপ্ত সিলেট কোম্পানীগঞ্জ থানার বটেরতল গ্রামের উস্তার আলীর পুত্র সিএনজি অটোরিকশা চালক মো: রইছ আলী (৩০)। গতকাল রায় ঘোষনার সময় আসামীরা আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন না।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালে বিকেল গোয়াইনঘাট থানার নন্দিরগাঁও এলাকার শিবেরবাজার টু বহর রাস্তার বশির মিয়ার কমিউনিটি সেন্টারের সামনে (মৌলভীবাজার থ-১১-৪২১৫) নং একটি সিএনজি অটোরিকশায় গাঁজার একটি চালান বহন করছিলো। গোপনে এমন সংবাদ পেয়ে সিলেট জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে সেখানে অভিযান চালিয়ে মাদক ব্যবসায়ী রমজান আলী উরফে শাহিন, আব্দুল শহিদ ও সিএনজি অটোরিকশা চালক মো: রইছ আলীকে গ্রেফতার করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৯০ হাজার টাকা দামের ৯ কেজি গাঁজা উদ্ধার ও সিএনজি অটোরিকশা গাড়ীটি জব্দ করতে সক্ষম হয় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
এ ব্যাপারে সিলেট জেলা গোয়েন্দা শাখার এসআই (নি:) মো: বশিউর রহমান বাদি হয়ে গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে গোয়াইনঘাট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার নং-২ (০৫-০৫-২০১৮)।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে সিলেট জেলা গোয়েন্দা শাখার এসআই মো: মিজানুর রহমান একই বছরের ৫ জুন ওই ৩ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র নং-১০১) দাখিল করেন এবং একই বছরের ৫ নভেম্বর আদালত এ মামলার বিচারকায্য শুরু করেন। দীর্ঘ শুনানী ও ১২ জন সাক্ষীর মধ্যে ৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আসামী রমজান আলী উরফে শাহিন ও আব্দুল শহিদকে ১৯৯০ সনের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১৯ (১) এর টেবিলের ৭ (খ) ২৫ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে তাদেরকে উল্লেখিত রায় প্রদান করেন এবং অপর আসামী মো: রইছ আলীর বিরুদ্ধে আদালতে দোষ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে এ মামলা থেকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষে এপিপি এডভোকেট এসএম পারভীন ও আসামীপক্ষে মো: সোহেল মিয়া মামলাটি পরিচালনা করেন।