মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মান দেওয়া মানে দেশকে সম্মান দেওয়া – ব্যারিস্টার আরশ আলী

4

গণতন্ত্রী পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি, প্রবীণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বীর মুক্তিযোদ্ধা ব্যারিস্টার মোহাম্মদ আরশ আলী বলেছেন, ১৯৭১ সালে দেশকে স্বাধীন করার জন্য বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে বীর মুক্তিযোদ্ধারা জীবন বাজি রেখে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর সাথে ৯ মাস যুদ্ধ করে এই দেশ স্বাধীন করেছেন। তাই মুক্তিযোদ্ধাদের এই অবদান কোনদিন ভুলার নয়। একজন মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মান দেওয়া মানে সকল মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মান দেওয়া, দেশকে সম্মান দেওয়া। মুক্তিযোদ্ধারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রাপ্য সম্মান পাচ্ছেন না। মুক্তিযোদ্ধাদের অবহেলা না করে তাদের পাপ্য সম্মান দিতে হবে। কারণ মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ করেছিলেন বলেই আমরা এই স্বাধীন দেশ পেয়েছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে যাচ্ছেন। তাদের সম্মানি ভাতা, অসুস্থ্য মুক্তিযোদ্ধাদের বিনামূল্যে চিকিৎসা এবং ঘর তৈরি করে দিচ্ছেন। তাদের সন্তানদের চাকুরীর সুযোগ করে দিচ্ছেন। সরকারের পাশাপাশি অন্যদের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আহবান জানান তিনি।
শনিবার (২৬ মার্চ) রাতে নগরীর কলবাখানী এলাকায় মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
সুরমা বয়েজ ক্লাবের সিনিয়র সদস্য আব্দুল আহাদ এলিছ এর সভাপতিত্বে ও প্রতিষ্ঠাতা আনোয়ার হোসেনের পরিচালনায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) সিলেট জেলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ মতিন, সাম্যবাদী দল কেন্দ্রীয় পলিট ব্যুরো সদস্য ও জেলা সম্পাদক ধীরেন সিংহ, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি কমরেড সিকন্দর আলী, সুরমা বয়েজ ক্লাবের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক ও আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আহ্বায়ক সিনিয়র ফটো সাংবাদিক আতাউর রহমান আতা, সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম চৌধুরী এহিয়া, এডভোকেট সুহেল আহমদ চৌধুরী, সুরমা বয়েজ ক্লাবের সাবেক সহ-সভাপতি গোপাল বাহাদুর, সাধারণ সম্পাদক গোলাম জাকারিয়া চৌধুরী শিপলু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজওয়ান আহমদ, সদস্য সুমন বাহাদুর, গপ্পু বাহাদুর প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি