প্রধানমন্ত্রীর আশ^াসে আস্থা

5

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার বাংলাদেশে বিনিয়োগের পরিবেশ তৈরির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। একই সঙ্গে বিনিয়োগের পরিবেশ তৈরির নানা উদ্যোগ বিশ^ব্যপী প্রচারেরও উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নিজে বিশে^র বিভিন্ন দেশ সফরের সময় বাংলাদেশের বিনিয়োগ পরিবেশ তুলে ধরে সেসব দেশের ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের জন্য আহ্বান জানান। এর সুফলও আসতে শুরু করেছে। দিন দিন বাড়ছে বিদেশী বিনিয়োগ। সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরে প্রধানমন্ত্রী বরাবরের মতো সেই দেশের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের দেশে বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল ও হাই-টেক পার্ক, তৈরি পোশাক, চামড়া, পাট, খাদ্যপণ্য, আইসিটি ইত্যাদি খুব সম্ভাবনাময় খাত। অর্থনৈতিক বাজার এখন উন্নত বেসরকারী ইকুইটি ও ফিন-টেক সমাধান দিতে প্রস্তুত। বারো বছর আগে আমরা যে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলাম এখন তা বাস্তবে পরিণত হয়েছে। আমাদের অংশীদার হওয়ার জন্য আপনাদের আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।’
আমিরাতে বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের ব্যবসায়ী সম্প্রদায় আয়োজিত যৌথ ব্যবসা পরিষদে (জেবিসি) বক্তৃতা দেয়ার সময় তিনি এই আহ্বান জানান। তিনি বিদেশী বিনিয়োগকারীদের জন্য বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ উল্লেখ করে বলেন, ‘আপনাদের সবাইকে নিশ্চয়তা দিচ্ছি, বাংলাদেশ এখন বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি আকর্ষণীয় সুযোগ লাভের দেশ। দক্ষিণ এশিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের মিলনস্থলে আমরা একটি চমৎকার ভূ-কৌশলগত অবস্থানে রয়েছি। আমাদের সমুদ্রবন্দরগুলো আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক জাহাজ রুটের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। বিশাল অভ্যন্তরীণ বাজারের পাশাপাশি রয়েছে নিকটবর্তী অনেক সম্ভাবনাময় বাজার। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বিদ্যমান থাকায় বিনিয়োগকারীরা খুব স্বাচ্ছন্দ্যে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করতে পারেন। ব্যবসায় বিদেশী মালিকানার জন্য কোন ধরনের সীমাবদ্ধতা নেই। রয়েছে বৈদেশিক মুদ্রার শক্তিশালী ভা-ার। বিনিয়োগকারীদের মুনাফা তাদের দেশে নিয়ে যেতে কোন ধরনের বাধা নেই।’
এমন আহ্বান প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন সময় ইউরোপ, জাপান, কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়াসহ বিশে^র সকল উন্নত রাষ্ট্রের প্রতি জানিয়েছেন। একটি রাষ্ট্রের সরকারপ্রধান এমন আশ্বাস দিলে ব্যবসায়ীদের মধ্যে আস্থা তৈরি হতে বাধ্য। প্রধানমন্ত্রী শুধু আশ^াস দিয়েই দায়িত্ব শেষ করেন না, প্রতিটি খাতে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের সুবিধা-অসুবিধা নিজে তত্ত্বাবধান করেন। প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যোগে ইতোমধ্যে বিদেশী ব্যবসায়ীদের মধ্যে আস্থা তৈরি হয়েছে। দ্রুত বাড়ছে বিদেশী বিনিয়োগ। এই প্রক্রিয়া অব্যাহ থাকলে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত রূপকল্প ’৪১ সঠিক সময়েই বাস্তবায়ন সম্ভব হতে পারে।