চালিবন্দর মহাশ্মশান অধুনিকায়ন প্রকল্পের উদ্বোধনকালে সিসিক মেয়র ॥ নগরের উন্নয়ন ধারাবাহিকতায় সবগুলো শ্মশান আধুনিকায়ন করা হবে

5
নগরীর চালিবন্দর এলাকায় শ্মশানঘাটের অফিস বিল্ডিং, পুকুরের রিটেনিং ওয়াল, কালি মন্দির, শ্মশানের চুলা ও শ্মশানঘাটের সৌন্দর্য বর্ধন কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করছেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।

সিলেট নগরের চালিবন্দর মহাশ্মশান ঘাটের আধুনিকায়ন কাজ শুরু হয়েছে। ঐতিহ্যবাহি এই প্রতিষ্ঠানে আধুনিক সুযোগ সুবিধা নিশ্চিতের লক্ষ্যে সিলেট সিটি কর্পোরেশন একটি সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। তারই অংশ হিসেবে মহাশ্মশানের উন্নয়ন প্রকল্পের প্রথম ধাপের কাজ শুরু হলো।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী চালিবন্দর মহাশ্মশানের আধুনিকায়ন কাজের উদ্বোধন শেষে বলেন, নগরের উন্নয়ন ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবেই শ্মশান ঘাটের উন্নয়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হচ্ছে। এছাড়া নগরের অন্যান্য শ্মশান ঘাটের উন্নয়নেও সিসিকের আলাদা আলাদা প্রকল্প কাজ করছে। ‘চালিবন্দর মহাশশ্মান আধুনিকায়ন ও অবকাঠামো সুবিধা বৃদ্ধি’ প্রকল্পের আওতায় শ্মশান চত্ত্বরে একটি কালি মন্দির নির্মাণ, শেষকৃত্যানুষ্ঠানের জন্য ৫টি চুলা নির্মাণ, শশ্মান চত্ত্বরের পুকুর সংরক্ষনে রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণ ও সৌন্দর্য্যবর্ধণ করা হবে।
শ্মশান চত্ত্বরে একটি ভবন নির্মাণ করা হবে যেখানে শ্মশানের কার্যালয় ও পূজারী দর্শনার্থীদের জন্য অপেক্ষা গৃহ থাকবে। এছাড়া শ্মশান চত্ত্বরে একটি সুপ্রসস্থ নাটমন্দির নির্মাণ করা হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রথম পর্যায়ে সাড়ে ৩ কোটি টাকার কাজ শুরু হলো।
চালিবন্দর মহাশ্মশান ঘাটের আধুনিকায়ন কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিলেট রামকৃষ্ণ মিশনের অধ্যক্ষ মহারাজ স্বামী চন্দ্রনাথা নন্দ, চালিবন্দর শ্মশান সংস্কার সমিত ‘র সভাপতি বেদানন্দ ভট্টাচার্য অ্যাডভোকেট, বিজয় কুমার দেব ভুলু অ্যাডভোকেট, বিভাশ শ্যাম যাদন, মলয় পুরকায়স্থ, বিশ্বজিৎ দত্ত, চন্দন দাশ, ডা. পরেশ চন্দ্র দেবনাথ, উত্তম ঘোষ, রাখাল দে, সন্তু দাস এডভোকেট, কিশোর ভট্টাচার্য জনি ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ। বিজ্ঞপ্তি