সিলেট চেম্বার অব কমার্সের মতবিনিময় সভায় কৃষিমন্ত্রী ॥ সিলেট থেকে কৃষিপণ্য রপ্তানির জন্য প্যাকিং হাউজ ও সার্টিফিকেশন ল্যাব নির্মাণ করা হবে ॥ সরকারের ১২ বছরের ধারাবাহিকতায় অভাবনীয় সাফল্য অর্জিত হয়েছে : পররাষ্ট্র মন্ত্রী

10
সিলেট চেম্বার অব কমার্সের উদ্যোগে সিলেট থেকে কৃষিজাত পণ্য রপ্তানি ও বিনিয়োগ বিষয়ক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক এমপি।

স্টাফ রিপোর্টার :
দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র উদ্যোগে সিলেট থেকে কৃষিপণ্য রপ্তানি ও বিনিয়োগ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় উপস্থিত মন্ত্রীরা রপ্তানির জন্য সম্ভাবনাময় সিলেটে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ ও সহজীকরণে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
(১৫ ফেব্রুয়ারি) মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় নগরীর আমানউল্লাহ্ কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত বিনিয়োগ বিষয়ক এই মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মোঃ মাহবুব আলী, এমপি ও এফবিসিসিআই এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম. এ. মোমেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিলেট চেম্বারের সভাপতি তাহমিন আহমদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক সিলেটকে কৃষি পণ্য উৎপাদনের অপার সম্ভাবনাময় এলাকা উল্লেখ করে বলেছেন সিলেটের এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে কৃষি উৎপাদন ও উন্নয়নে ২২৬ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় উচ্চফলনশীল ধান, খাদ্যপণ্য, ফল বিশেষ করে কমলালেবু, আনারস এবং কফি চাষ সম্প্রসারণ করা হবে। বিশেষ করে সিলেট আনারস উৎপাদনের জন্য উপযুক্ত স্থান উল্লেখ করে তিনি বলেন, ফিলিপাইন থেকে উন্নতমানের আনারসের চারা আমদানি করে ব্যাপক হারে সিলেটে সরবরাহ করা হবে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, বিদেশে পণ্য রপ্তানি করতে হলে পণ্যকে নিরাপদ রাখতে হবে। ‘নিরাপদ খাদ্য’ এর জন্য প্যাকিং হাউজ ও সার্টিফিকেশন ল্যাব খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি সিলেট থেকে যাতে বিদেশে কৃষিপণ্য সঠিক প্রক্রিয়ায় বিদেশে রপ্তানি করা যায় সে লক্ষ্যে ঢাকার শ্যামপুরের মত সিলেটে প্যাকিং হাউজ এবং সার্টিফিকেশন ল্যাব দ্রুত চালুর প্রতিশ্রুতি দেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, এখনো ৭০ শতাংশ মানুষ গ্রামে বাস করে যারা কোন না কোনভাবে কৃষির সাথে জড়িত। তাই দেশের উন্নয়ন করতে হলে কৃষির আধুনিকায়ন করতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশানুযায়ী কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণ ও বাণিজ্যিকীকরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, কৃষি সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমরা অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছি। বিশেষ করে ধান জাতীয় খাদ্যে আমরা এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের দেশকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। নির্বাচনী ইশতেহারে দেওয়া প্রতিশ্রুতি সহ এমডিজি ও বিভিন্ন সূচকে অগ্রগতি অর্জন করে শেখ হাসিনা এখন ‘বিশ্বে মাথার মুকুট’ হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করেছেন, যা আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের ও অহংকারের।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন বলেন, সরকারের ১২ বছরে আমরা অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছি। খাদ্যে আমরা এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ। তিনি বলেন, বর্তমানে কৃষিমন্ত্রীর দূরদর্শীতায় দেশে প্রতিবছর ৪০ লক্ষ মেট্রিক টন ধান উৎপাদিত হচ্ছে। এখন আমরা খাদ্যের জন্য চিন্তা করি না, আমরা এখন বিদেশে খাদ্যপণ্য রপ্তানির উদ্যোগ নিয়েছি। এসব খাদ্যপণ্য রপ্তানির জন্য সিলেটে প্যাকিং হাউজ খুবই প্রয়োজনীয়। দেশে এখন অনেক খাদ্যশস্য উৎপাদন হচ্ছে, প্যাকিং হাউজ হলে রপ্তানির ক্ষেত্রে আমরা কয়েকধাপ এগিয়ে যাবো। তিনি বলেন, সিলেটের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত আন্তরিক। তার নেতৃত্বে ঢাকা-সিলেট ৬ লেন, সিলেট-তামাবিল ৪ লেন ও বাদাঘাট বাইপাস সড়ক অনুমোদিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কারণেই সিলেটে সত্যিকারের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হচ্ছে। প্রসঙ্গত তিনি বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত আমাদের কাছ থেকে খাদ্যপণ্য নিতে খুবই আগ্রহী। ফুড সিকিউরিটির আওতায় তারা সবজি এবং বিশেষ করে আম সরাসরি কার্গো বিমানে নিতে চায়। তারা এগুলো তাদের প্রয়োজন মিটিয়ে ২২টি দেশেও রপ্তানি করবে। এ ব্যাপারে সমঝোতা চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রী স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে আমেরিকা ও কানাডায় সরাসরি ফ্লাইট চালুর উদ্যোগ নেওয়ায় বিমান প্রতিমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আমরা সবাই এই ফ্লাইটের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি। তিনি সিলেট থেকে কৃষিপণ্য রপ্তানি বৃদ্ধি ও বিনিয়োগ বিষয়ক সভা আয়োজনের জন্য সিলেট চেম্বার সভাপতি ও নেতৃবৃন্দকে ধন্যবাদ জানান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মোঃ মাহবুব আলী বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রবাসী অধ্যূষিত সিলেটের প্রবাসীদের কল্যাণের জন্য আমাকে বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়েছেন। তিনি বলেন, ফ্রান্স এবং আমেরিকা আমাদের কাছে জেট বিমান বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছিল কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রপ্তানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে জেট এর পরিবর্তে ২টি কার্গো বিমান ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি বলেন, ওসমানী বিমানবন্দরকে পূর্ণাঙ্গ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রূপান্তরের জন্য ৩ হাজার কোটি টাকার কাজ চলমান রয়েছে। ডিজাইনে কিছু পরিবর্তন হওয়ায় এই কাজ সম্পন্ন হতে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে, কিন্তু আশাবাদী দ্রুততার সাথেই এই কাজ শেষ হবে। কাজ শেষ হলেই ব্যবসায়ীদের দাবী অনুযায়ী পরিপূর্ণ প্যাকিং হাউজ ও ওয়্যার হাউজ চালু হবে। বিমান প্রতিমন্ত্রী সাম্প্রতিক সময়ে বিমানের টিকেটের মূল্য বৃদ্ধির প্রসঙ্গে বলেন, কোন প্রবাসীকে হয়রানি আমি সহ্য করবোনা। টিকেট নিয়ে কোন সিন্ডিকেটের প্রমাণ দিতে পারলে এর সাথে জড়িতদের তাৎক্ষণিকভাবে চাকুরীচ্যুত করা হবে বলে তিনি ঘোষণা দেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এফবিসিসিআই এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম. এ. মোমেন বলেন, বর্তমান সরকারের দূরদর্শী সিদ্ধান্তের ফলে কোভিড-১৯ মহামারী মধ্যেও কৃষিপণ্যের সাপ্লাই চেইন সচল ছিল। এটি সরকারের একটি বিরাট অর্জন। তিনি প্রবাসীদের নতুন প্রজন্মকে দেশে বিনিয়োগে আকৃষ্ট করতে প্রবীণ ব্যবসায়ীদের আহবান জানিয়ে বলেন, বর্তমান সরকার তাদের জন্য আধুনিক সুযোগ-সুবিধা তৈরী করে দিচ্ছেন। তিনি সিলেটে ওয়্যার হাউজ ও প্যাকিং হাউজ প্রতিষ্ঠা সিলেটের ব্যবসায়ীদের ন্যায়সঙ্গত দাবী উল্লেখ করে এ ব্যাপারে মন্ত্রীগণের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
স্বাগত বক্তব্যে সিলেট চেম্বারের সভাপতি তাহমিন আহমদ প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, আজকের এই মতবিনিময় সভা সিলেটের ব্যবসা-বাণিজ্য, রপ্তানি ও বিনিয়োগের জন্য মাইলফলক। তিনি সিলেটের রপ্তানি খাতের উন্নয়নে কৃষিমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও বিমান প্রতিমন্ত্রীর আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করে বলেন, যথাযথ সুযোগ সৃষ্টি করা হলে সিলেট অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা রপ্তানিতে বিশেষ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবেন। তিনি সিলেট থেকে সরাসরি পণ্য রপ্তানির লক্ষ্যে প্যাকিং হাউজ, কুলিং সেন্টার, সার্টিফিকেশন ল্যাব স্থাপন, গোয়াইনঘাটে অর্থনৈতিক অঞ্চল দ্রুত বাস্তবায়ন, সিলেট-লন্ডন ও মধ্যপ্রাচ্যের ফ্লাইটের ভাড়া হ্রাস করার অনুরোধ জানান। তিনি সিলেট জেলার ১৩টি উপজেলায় কৃষি উদ্যোক্তা তৈরীর লক্ষ্যে কৃষি বিষয়ক সেমিনার আয়োজনের জন্য সরকারী সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি কৃষিজাত পণ্য সংরক্ষণের জন্য দেশের প্রতিটি জেলায় সরকারী উদ্যোগে কোল্ড স্টোরেজ স্থাপনের আহবান জানান।
সভায় বক্তাগণ সিলেট-চট্টগ্রাম ও সিলেট কক্সবাজার রুটে সপ্তাহে ২টি করে ফ্লাইট চালু, সিলেট থেকে সরাসরি ওমরাহ্র ফ্লাইট চালু, রেমিটেন্স এওয়ার্ড প্রদানের সংখ্যা বৃদ্ধিকরণ, বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশের দূতাবাসগুলোতে পণ্য ডিসপ্লে সেন্টার চালু, বিমানবন্দরের বাইরে যাত্রীদের আত্মীয়-স্বজনদের জন্য ওয়েটিং রুম তৈরী, পর্যটকদের জন্য তথ্য কেন্দ্র খোলা, দেশে ফেরার ফ্লাইটে খাবারের মান উন্নয়ন, সিলেটে কার্গো বিমান অবতরণ সহ বিভিন্ন প্রস্তাব তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে কৃষিপণ্য রপ্তানি, পর্যটন, ও বিনিয়োগ বিষয়ক বিভিন্ন পরামর্শ উপস্থাপন করেন সিলেট চেম্বারের সিনিয়র সহ সভাপতি ফালাহ উদ্দিন আলী আহমদ এবং সাবেক সভাপতি ও বর্তমান পরিচালক আবু তাহের মোঃ শোয়েব। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিলেট-৩ আসনের এমপি হাবিবুর রহমান হাবিব, সুনামগঞ্জের সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি শামীমা আক্তার খানম, সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সিলেট এর অতিরিক্ত পরিচালক দিলীপ কুমার অধিকারী, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. সৈয়দ সাঈম উদ্দিন আহমদ, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মাহমুদুল হাসান নজরুল, সিলেট চেম্বারের পরিচালক ও রপ্তানিকারক মোঃ হিজকিল গুলজার, পরিচালক ফখর উস সালেহীন নাহিয়ান, দেবাংশু দাস, সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্সের সিনিয়র সহ সভাপতি মোঃ জব্বার জলিল, নয়াসড়ক ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মাহি উদ্দিন আহমদ সেলিম, কৃষি গবেষক আব্দুল বাছিত সেলিম, জালালাবাদ ভেজিটেবল এক্সপোর্টার্স গ্রুপের সভাপতি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান। সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন ক্বারী মাওলানা শেখ সাদিকুর রহমান।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার নীরাজ কুমার জেসওয়াল, হাই কমিশনের হেড অব চেন্সরি টি জি রামেশ, সিলেট রেঞ্জ এর ডিআইজি অব পুলিশ মোঃ মফিজ উদ্দিন আহমদ, বিআরআরআই এর মহাপরিচালক ড. মোঃ শাহজাহান কবির, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ বেনজির আলম, জেলা প্রশাসক মোঃ মুজিবর রহমান, পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন আহমদ, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সিলেট সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ, কানাডা আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সরোয়ার হোসেন, কাস্টম্স এর অতিরিক্ত কমিশনার মুহাম্মদ রাশেদুল আলম, সিলেট মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, সিলেট চেম্বারের পরিচালক জিয়াউল হক, মোঃ আব্দুর রহমান (জামিল), হুমায়ুন আহমদ, মুজিবুর রহমান মিন্টু, আলীমুল এহছান চৌধুরী, ওয়াহিদুজ্জামান চৌধুরী (রাজিব), ফখর উস সালেহীন নাহিয়ান, আমিনুর রহমান লিপন, মোঃ আব্দুস সামাদ, জহিরুল কবির চৌধুরী শিরু, ফাহিম আহমদ চৌধুরী, কাজী মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, মোঃ সরোয়ার হোসেন ছেদু, সাবেক সভাপতি ফারুক আহমদ মিছবাহ, খন্দকার সিপার আহমদ, সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি চন্দন সাহা, সাবেক সহ সভাপতি মোঃ এমদাদ হোসেন, বিডা সিলেট এর বিভাগীয় পরিচালক জুলিয়া যেসমিন মিলি, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বদরুল ইসলাম শোয়েব, সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বারের সাবেক সভাপতি হাসিন আহমদ, কোয়ারেন্টাইন বিভাগের উপ পরিচালক সুলতান মাহমুদ ভূঁইয়া, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আল আজাদ, সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি মুহিত চৌধুরী প্রমুখ।