নগরীতে দিনভর ধূ-ধূ বাতাসসহ বৃষ্টি

6
শুক্রবার বিকেল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে নাকাল জনজীবন। এক দিকে বৃষ্টি অন্য দিকে শীত। চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। ছবিটি নগরীর আম্বরখানা থেকে তোলা। ছবি- মামুন হোসেন

স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীসহ সিলেটের বিভিন্ন স্থানে শুক্রবার দিনভর ধূ-ধূ বাতাসহ বৃষ্টি হয়েছে। আজ শনিবারও সিলেট বিভাগের কিছু জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। মাঘের শেষ সময়ে এই বৃষ্টিতে জেঁকে বসতে পারে শীত। শীতের তীব্রতার মধ্যে বৃষ্টির হানায় কিছুটা ভোগান্তি বেড়েছে মানুষের। গতকাল জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাহিরে বের হতে দেখা যায়নি।
শুক্রবার সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সিলেটসহ অন্যান্য বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া শুক্রবার মধ্যরাত থেকে আজ শনিবার সকাল পর্যন্ত সারা দেশে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে।
আবহাওয়ার পরবর্তী তিন দিনের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এ সময়ের শেষ দিকে বৃষ্টির প্রবণতা কমতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. আবুল কালাম মল্লিক বলেন, অঞ্চলভেদে আজ দিনের তাপমাত্রা কমে যেতে পারে। বৃষ্টির পর পঞ্চগড়, নীলফামারী, রংপুরসহ ওই অঞ্চলের কিছু জায়গায় শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
শুক্রবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ঢাকায় ১৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ময়মনসিংহে ১৬ দশমিক ৪, চট্টগ্রামে ১৫ দশমিক ৪, সিলেটে ১৫ দশমিক ২, রাজশাহীতে ১৬ দশমিক ২, রংপুরে ১৪ দশমিক ৩, খুলনায় ১৮ দশমিক ২, বরিশালে ১৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।