শিশু বান্ধব হাসপাতাল কর্মসূচী বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে ডা. ইহতেশামুল ॥ স্বাস্থ্য কর্মীদের দায়িত্বশীলতার পাশাপাশি অভিভাবকদের সচেতনতা প্রয়োজন

42
সিভিল সার্জন কার্যালয়ে জাতীয় পুষ্টিসেবা, জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান-এর ব্যবস্থাপনায় শিশু বান্ধব হাসপাতাল কর্মসূচী বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন বিএমএ-এর কেন্দ্রীয় মহাসচিব ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী।

বিএমএ-এর কেন্দ্রীয় মহাসচিব ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী বলেছেন, শিশু বান্ধব হাসপাতাল গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজন স্বাস্থ্য কর্মীদের দায়িত্বশীলতার পাশাপাশি অভিভাবকদের সচেতনতা। তিনি টিন ও প্যাকেটজাত দুধ শিশুদের ক্ষতির কারণ উল্লেখ করে ৬ মাস পর্যন্ত মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানোর প্রয়োজনীয়তার কথা মা ও তার অভিভাবকদেরকে জানাতে হবে। কারন মায়ের দুধ খাওয়ালে শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার কমে। আমাদেরকে স্মরণ রাখতে হবে, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বাস্থ্যক্ষেত্রে যুগান্তকারী পদক্ষেপকে বানকি মুনসহ বিশে^র স¦নামধন্য ব্যক্তিরা প্রশংসা করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে স্বাস্থ্যসেবা দিতে বাংলাদেশ থেকে শিক্ষা গ্রহণের আহবান জানিয়েছেন।
জাতীয় পুষ্টিসেবা, জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান-এর ব্যবস্থাপনায় শিশু বান্ধব হাসপাতাল কর্মসূচী বিষয়ক প্রশিক্ষন কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেট সিভিল সার্জন কার্য্যালয়ে আয়োজিত প্রশিক্ষন কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন সিলেটের নবাগত সিভিল সার্জন ডা. এস এম শাহরিয়ার। কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন পার্কভিউ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. দিলীপকুমার ভৌমিক। সিলেটের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. জন্মোজয় দত্তের স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে রিসোর্স পার্সন হিসাবে বক্তব্য রাখেন শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মুজিবুল হক ও শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. তানজিনা চৌধুরী। সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার মির্জা লূৎফুল বারী’র পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন সিলেটের সদ্যপ্রাক্তন সিভিল সার্জন ডা. প্রেমানন্দ মন্ডল, সিলেট সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডা. সিরাজুম মুনির, মেডিকেল অফিসার স্নিগ্ধা তালুকদার, সিনিয়র স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সুজন বণিক, স্বাস্থ্য বিভাগীয় অফিসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এম. গৌছ আহমদ চৌধুরী প্রমুখ।
ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী আরো বলেন,সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় জনবান্ধব স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ধরে রাখতে হবে। নতুন প্রজন্মের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ছড়িয়ে দিতে হবে। মনে রাখতে হবে, বঙ্গবন্ধু আমাদেরকে স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন বলেই আজকে স্বাধীন দেশে আমরা ডাক্তার নার্সসহ বিভিন্ন সম্মানজনক পেশায় বাজিমাত করতে পারছি।
উল্লেখ্য শিশু বান্ধব হাসপাতাল কর্মসূচী বিষয়ক প্রশিক্ষন কর্মসূচির আওতায় সিলেটে ২৫টি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের ১০০ ডাক্তার ও ১০০ সেবিকাকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। বিজ্ঞপ্তি