হাতি রক্ষায় বনবিভাগের ব্যর্থতা ক্ষমার অযোগ্য দেশে নির্বিচারে বন্যহাতি হত্যার বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি বাপার

4
দেশে নির্বিচারে বন্যহাতি হত্যার বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবিতে বাপা'র সমাবেশ।

হাতি রক্ষায় বন বিভাগের ব্যর্থতা ক্ষমার অযোগ্য বলে দেশে নির্বিচারে বন্যহাতি হত্যার বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছেন পরিবেশবাদীরা। গতকাল শনিবার সিলেটের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে বাংলাদেশে পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেট শাখার উদ্যোগে আয়োজন করা হয় প্রতিবাদ সমাবেশ। এই সমাবেশে যুক্ত হয় সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণী অধিকার বিষয়ক সংগঠন প্রাধিকার। বিকাল চারটায় শুরু হওয়া এ প্রতিবাদ কর্মসূচিতে মূল বক্তব্য রাখেন বাপা সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আব্দূল করিম কিম। প্রাধিকারের সভাপতি তাজুল ইসলামের সঞ্চালনায় আয়োজিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাপা সিলেটের সহ-সভাপতি এডভোকেট ই ইউ শহিদুল ইসলাম। বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি আল আজাদ, প্রত্নতত্ত্ব সংগ্রাহক ডাঃ শাহজামান চৌধুরী বাহার, সাংস্কৃতিক সংগঠক এনামুল মুনির, শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃতত্ত্ব বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডঃ আফম জাকারিয়া।
শেরপুর ও পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে গত এক সপ্তাহে পাঁচটি হাতি হত্যার ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে আয়োজন করা এই সমাবেশ থেকে বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তন থেকেও প্রকৃতি ও পরিবেশের অপূরণীয় ক্ষতি করছে এক শ্রেণির মানুষ। যাদের সহযোগীতা করছে বন বিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তা। দেশে জনসংখ্যার চাপ থাকলেও বন্যপ্রানীর বাসস্থান ধ্বংস করাটা হচ্ছে বন বিভাগের দূর্বল ব্যাবস্থাপনার ফল। সম্প্রতি চট্টগ্রামের সাতকানিয়া ও শেরপুরের শ্রীবরদীতে বৈদ্যুতিক শকে এবং কক্সবাজারের চকরিয়ায় শিকারিদের গুলিতে একাধিক হাতির মৃত্যু নিছক মৃত্যু নয়, ঠান্ডা মাথায় খুন। যা দেশের প্রকৃতি ও পরিবেশের জন্য চরম হতাশার সংবাদ। ২০১৯ সালে আইইউসিএন-এর দেয়া হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশে হাতির সংখ্যা ২৬৩টি। কিন্তু গত দুই বছরে দেশে প্রায় অর্ধশত হাতি হত্যা হয়েছে। আর এ সপ্তাহে পাঁচটি। যা কোন ভাবে মেনে নেয়া সম্ভব নয়। দেশে নির্বিচারে হাতি হত্যার ঘটনার তাই বিচার বিভাগীয় তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। রাষ্ট্রকে শুধু জলবায়ু ফান্ডের টাকার জন্য হুতাসন করলে হবে না, দেশের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে।
বক্তারা আশংকা করেন, মৌলবীবাজার জেলার জুড়িতে হাতির বসতী হিসাবে পরিচিত ‘লাঠিটিলা’ ধ্বংস করে সাফারি পার্ক নির্মান একটি হটকারী সিদ্ধান্ত। যার কারনে সিলেট অঞ্চল থেকে হাতি অচিরেই বিলুপ্ত হবে।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে সংহতি প্রকাশ করেন সিলেট জেলা প্রেস ক্লাবের সাধারন সম্পাদক ছামির মাহমুদ, প্রাণী অধিকার কর্মী অরুপ শ্যাম বাপ্পী, ভুমিসন্তান বাংলাদেশের আশরাফুল কবির, সমাজসেবী মঞ্জুর আল বাছেত, সোসাস আহবায়ক ওয়াজি আহমেদ, সামাজিক সংগঠন উষা’র আহ্ববায়ক তমিশ্রা তিথি, প্রাধিকার সেক্রেটারী নিলোতপল দে প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি