গুলশান সেন্টারে গ্রেনেড হামলা দিবসে আহতদের নিয়ে আলোচনা সভায় আহমদ হোসেন ॥ আগষ্ট আসলেই বিএনপি-জামায়াত আঘাত হানার চেষ্টা করে

4
২০০৪ সালের ৭ আগষ্ট সিলেট গুলশান সেন্টারে মহানগর আওয়ামী লীগের সভায় ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় নিহত মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ইব্রাহিম আলী স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুদ উদ্দিন আহমদ।

২০০৪ সালের ৭ আগষ্ট সিলেট গুলশান সেন্টারে মহানগর আওয়ামী লীগের সভায় ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় নিহত মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ইব্রাহিম আলী স্মরণে ও আহত সকলের উপস্থিতিতে স্থানীয় একটি হল রুমে স্বাস্থ্য বিধি মেনে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ এর সভাপতিত্বে এবং গুলশান সেন্টারে গ্রেনেড হামলায় আহত বিজয়ী যোদ্ধা ও মহানগরের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোঃ জাকির হোসেন এর পরিচালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চয়ালি যুক্ত হন ও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ( সিলেট বিভাগের দায়িত্ব প্রাপ্ত নেতা) আহমদ হোসেন। সভার শুরুতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবার সহ নিহত ইব্রাহিম আলী স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
আলোচনা সভায় ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় আহতদের মধ্যে সেই দিনের স্মৃতিচারণ করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিসবাহ উদ্দীন সিরাজ, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফয়জুর আনোয়ার আলাওর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এটিম হাসান জেবুল, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কবির উদ্দিন, সম্মানিত জাতীয় পরিষদ সদস্য এডভোকেট রাজ উদ্দিন , মহানগরের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ জুবের খান, মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য আজম খান, আহত সদস্য আব্দুস সোবহান।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, শোকের মাস আগস্ট। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-কে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল। আগষ্ট আসলেই ঐ বিএনপি -জামাত, রাজাকার গোষ্ঠী আঘাত আনার চেষ্টা করে। ২০০৪ সালের ৭ আগস্ট সিলেট গুলশান সেন্টারে মহানগর আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য ঐ গোষ্ঠী গ্রেনেড হামলা করেছিল। গ্রেনেড হামলায় নিহত হয়েছিল মহানগরের প্রচার সম্পাদক ইব্রাহিম আলী। আহত হয়েছিলেন আজকের উপস্থিত সকল নেতৃবৃন্দ সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ১৫ আগষ্টে শাহাদতবরণকারী পরিবারের সকল সদস্য এবং ৭ আগষ্টে নিহত ইব্রাহিম আলী সহ সকলের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন। গ্রেনেড হামলায় আহত সকল সদস্যের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। তিনি গ্রেনেড হামলার ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন। এ ধরনের ঘটনা যাতে বিএনপি -জামাত জঙ্গিগোষ্ঠী আর না করতে পারে সে জন্য সবাইকে সোচ্চার হতে আহবান জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র দীর্ঘায়ু কামনা করেন এবং উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ ও প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া কামনা করে বক্তব্য শেষ করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক খন্দকার মহসিন কামরান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুর রহমান জামিল, জেলা আওয়ামী লীগের শ্রম সম্পাদক মোঃ সাইফুর রহমান খোকন, মহানগরের সহ-প্রচার সম্পাদক সোয়েব আহমদ, উপ-দপ্তর সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্ত্তী রনি, প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি