আরো ১৪শ’ জন নিলেন করোনার টিকা ॥ ওসমানী হাসপাতালে করোনার টিকা নিতে মানুষের উপচেপড়া ভিড়

2

স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ (সিওমেকে) হাসপাতালে করোনার টিকা নিতে আগ্রহী মানুষের সংখ্যা বেড়েছে। ফলে হিমশিম খেতে হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। এদিকে চাপ সামলাতে বাড়ানো হচ্ছে বুথ ও কেন্দ্রের সংখ্যা।
গতকাল সোমবার সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্থাপিত করোনা প্রতিরোধী টিকাদান কেন্দ্রে দেখা যায় এমন চিত্র। বিগত দিনের তুলনায় গতকাল টিকা নিতে আগ্রহী মানুষের সংখ্যা বেড়েছে। টিকা নিতে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে সবাইকে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আগের তুলনায় টিকা গ্রহণে আগ্রহীর সংখ্যা বাড়ছে। মানুষের মনে যে শঙ্কা ছিল তা দূর হয়ে গেছে। এদিকে সরকার বয়স সীমা ৩০ করার পর মানুষের মধ্যে আরও আগ্রহ বেড়েছে। এছাড়া আগের রেজিষ্ট্রেশন করে যারা টিকা পাননি তারাও এসেছেন টিকা নিতে। তাই সকলকে সুশৃঙ্খলভাবে ধৈর্য ধরে দাঁড়াতে ও নির্দিষ্ট তারিখে এসে টিকা নেয়ার আহ্বান জানান তারা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত রবিবার সিওমেকে ৮টি বুথ ও পুলিশ লাইনস হাসপাতালের ২টি বুথের মাধ্যমে সিলেট সিটি করপোরেশন এলাকায় ২ হাজার একশ’ ৭২ জনকে দেয়া হয় করোনা প্রতিরোধী টিকা। গতকাল সোমবার ৬০০ জনকে টিকা গ্রহণের জন্য মেসেজ দিলেও ১ হাজার জনের জন্য টিকার ব্যবস্থা করেন কর্তৃপক্ষ। তবে যা দুপুর ১২টার আগেই শেষ হোয়ে যায়। পরে ভিড়ের কারণে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালটিতে বুথের সংখ্যা বাড়িয়ে দুপুরে ফের শুরু হয় টিকা দান কার্যক্রম। তারপরও ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের।
এদিকে এমনভাবে টিকা নিতে আসলে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে টিকার পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে জানিয়ে তারা বলছেন, ভিড় করা থেকে বিরত থাকতে। শুধু নির্দিষ্ট তারিখের নিবন্ধনকারীদেরই টিকাকেন্দ্রে আসার আহ্বান জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
এ ব্যাপারে সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম বলেন, নিবন্ধন করে ম্যাসেজ নিয়ে নির্দিষ্ট দিনে টিকা কেন্দ্রে এলে ভিড় কম হবে। অনেক নিবন্ধনকারী ম্যাসেজ না পেয়েও কেন্দ্রে ভিড় করছেন। এছাড়া অনেকে নির্দিষ্ট দিনে না এসে পরে আসছেন। প্রতিদিন ৬০০ জনকে ম্যাসেজ দেওয়া হলেও কেন্দ্রে টিকা গ্রহীতার সংখ্যা থাকছে হাজারের উপরে। এভাবে কেন্দ্রের ভিড় না করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। সিলেট সিটি করপোরেশন এলাকায় করোনা প্রতিরোধী টিকার পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ৩০ বছরের বেশি সকল নাগরিক করোনাভাইরাস প্রতিরোধে টিকা নিতে পারবেন। সকলে যদি নির্দিষ্ট দিনে এসে টিকা গ্রহণ করেন তাহলে এতটা ভিড় হবার কথা না। তাই সকলকে একদিনে ভিড় না করে নির্দিষ্ট সময়েই আসার আহবান জানান তিনি।
অপরদিকে,গতকাল সোমবার সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে আরো ১৪শ’ জন করোনার টিকা নেওয়ার বিষয়টি জানিয়ে সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম সুমন জানান, সোমবার সিলেট পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে করোনার প্রথম ডোজ টিকা (মডার্না ) নিয়েছেন ২৫০ জন। এরমধ্যে ১৯৬ জন পুরুষ ও ৫৪ জন মহিলা। এছাড়া সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সোমবার ৭৮০ জন নিয়েছেন করোনার টিকা। তন্মধ্যে ৪৬৪ জন রয়েছেন পুরুষ ও মহিলা ৩১৩ জন। তারা সবাই নিয়েছেন আমেরিকার তৈরি মডার্নার টিকা। একই হাসপাতালে সোমবার করোনার দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েছেন সিনোফার্মের ৩৭০ জন। তন্মধ্যে পুরুষ ১৮৪ জন ও মহিলা ১৮৬ জন রয়েছেন।