শ্রীমঙ্গলে নিলামে মৌসুমের প্রথম চা-সংযুক্ত হলো ৪টি গ্রীন টি

11

মৌলভীবাজার থেকে সংবাদদাতা :
শ্রীমঙ্গলের চা নিলাম কেন্দ্রে মৌসুমের প্রথম চা উঠেছে। এবারের নিলামে সংযুক্ত হয়েছে বিশেষ চার ধরনের চা। এই বিশেষ চার ধরনের চা হলো হানি গ্রীনটি, মাছা গ্রীনটি, লেমন গ্রীনটি ও লন্ডনের বিখ্যাত চা আলগ্রে। ২৩ জুন সকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এ অকশনে সর্বোচ্চ ৩ হাজার ১শ’ টাকায় বিক্রি হয় হানি ফ্লেভার গ্রীনটি। ২ হাজার ৪ শত ২০ টাকায় বিক্রি হয় লেমন গ্রীনটি, মাছা টি বিক্রি হয় ১ হাজার ৫শত টাকা ও আলগ্রে বিক্রি হয় ১ হাজার ২শত টাকা কেজি দরে। একই সঙ্গে সর্বনিম্ন ব্র্যাক টি বিক্রি হয় ১ শত ৪৫ টাকা কেজি দরে।
শ্রীমঙ্গল ব্রোকার্স লিমিটেডের পরিচালক হেলাল চৌধুরী জানান, দেশের দ্বিতীয় চা নিলাম কেন্দ্র বছরের ৪র্থ চায়ের নিলাম অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য আকর্ষণ ছিল মৌলভীবাজার বড়লেখার শাহবাজপুর চাবাগানের বিশেষ ৪টি চা। শ্রীমঙ্গল শহরের মৌলভীবাজার রোডের খান টাওয়ারের দ্বিতীয় তলায় অনুষ্ঠিত এ নিলাম কেন্দ্রের শ্রীমঙ্গল টি বোকার্স, রূপসী বাংলা টি বোকার্স এবং জালালাবাদ টি বোকার্স-এর মাধ্যমে ২০টি চাবাগানের ৩৪৮ লটের মাধ্যমে মোট ১ লাখ ৪০ হাজার কেজি চা নিলামে তোলা হয়। যার মধ্যে প্রায় ১ লাখ কেজি বিক্রি হয়।
শ্রীমঙ্গল টি প্ল্যান্টার এ্যান্ড ট্রেডার্স এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক জহর তরফদার জানান, এবারেও বরাবরের মতো শ্রীমঙ্গল টি বোকার্স এর মাধ্যমে নিলামে নতুন জাতের ৪টি চা তোলা হয়েছে। যা এ নিলামের প্রধান আকর্ষণ ছিল। তিনি জানান, উৎপাদন বেশি হওয়ায় আগের নিলামের চেয়ে চা বেশি উঠেছে।
বাংলাদেশে নতুন আবিষ্কৃত এ চা উৎপাদনকারী শাহবাজপুর চা বাগানের ব্যবস্থাপক মোঃ রাশেদুল ইসলাম বলেন, শৌখিন চাপায়ীদের জন্য তারা বিশেষ এ ৪ প্রকারের চা তৈরি করেন। এর মধ্যে একটি হলো হানি গ্রীনটি। যেটি বিটিটু চায়ের একটি পাতা ও কুঁড়ির সঙ্গে ন্যাচারাল মধু মিশিয়ে তৈরি করা হয়েছে। এটি পান করলে মধু ও চা দুটির ফ্লেভার পাওয়া যায়। পাশাপাশি এটিতে আলাদা করে মিষ্টি দেয়ার প্রয়োজন হবে না। একই সঙ্গে লেবুর সঙ্গে মিশিয়ে লেমন গ্রীনটি এবং জাপানের বিখ্যাত চা মাছা গ্রীনটিও তারা তৈরি করেছেন। এটি পাউডার করা। গরম পানিতে মিশিয়ে হরলিক্স এর মতো এটি পান করা যায়। অপরটি হলো লন্ডনের জনপ্রিয় আলগ্রে টি। যা ইংল্যান্ডের সুগন্ধি ফুল ক্যামমিল এর ফ্লেভারের সঙ্গে বিটিটুর সংমিশ্রণে তৈরি করা হয়েছে। ইংল্যান্ড থেকে এই ফ্লেভার নিয়ে এসে তারা এটি তৈরি করেছেন। তিনি জানান, জাপানী ও ইংল্যান্ডের মানুষ যখন বাংলাদেশে আসেন তখন তারা এই চা পেয়ে খুশি হবেন। পাশাপাশি দেশের মানুষকে নতুনত্ব উপহার দেয়াও তাদের প্রয়াস।