আরও এক সপ্তাহ বাড়ছে লকডাউন

18

কাজিরবাজার ডেস্ক :
করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী চলমান কঠোর বিধিনিষেধের মেয়াদ আরও এক সপ্তাহের জন্য বাড়াতে যাচ্ছে সরকার। এতে বর্তমানে গণপরিবহন বন্ধসহ সরকারের আরও যেসব বিধিনিষেধ আরোপ রয়েছে, সেগুলো বহাল থাকবে আরও এক সপ্তাহের জন্য। সোমবার জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, আজ মঙ্গলবার এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এখনও কাক্সিক্ষত মাত্রায় কমেনি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমানে যে পরিস্থিতি তাতে এখনই বিধিনিষেধ তুলে নেয়া সম্ভব না। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনেই সরকার আরও এক সপ্তাহের জন্য চলমান বিধিনিষেধ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়ানোর ক্ষেত্রে ভারতের চলমান করোনা পরিস্থিতির ক্রমাবনতিকেও বিবেচনায় রাখা হয়েছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ভারতে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। আমরাও ভয় পাচ্ছি যে এটা যদি বাংলাদেশে চলে আসে। সে চিন্তা করেই আমরা বিধিনিষেধ আরও এক সপ্তাহ মেনে চলব।
গত ১৪ এপ্রিল থেকে বলবৎ রয়েছে এই কঠোর বিধিনিষেধ। শুরুতে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত এই বিধিনিষেধ বাড়ানো হলেও পরবর্তী সময়ে সেটি ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর তথ্য অনুযায়ী, এবার ২৯ এপ্রিল থেকে ৫ মে পর্যন্ত আরও একসপ্তাহ বলবৎ হতে যাচ্ছে এই কঠোর বিধিনিষেধ।
চলমান কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেই দোকানপাট খোলা রাখার অনুমতি দিয়েছে সরকার। প্রথমে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত শপিংমল ও দোকান খোলা রাখার অনুমতি দেয়া হয়েছিল। পরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ জানিয়েছে, রমজান মাসের বাস্তবতা বিবেচনায় রাত ৯টা পর্যন্ত দোকানপাট ও শপিংমল খোলা রাখা যাবে। এছাড়া গণপরিবহন বর্তমানে বন্ধ থাকলেও তা চালুর অনুমতি দেয়া হতে পারে বলেও গুঞ্জন রয়েছে।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ দোকানপাট রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে। তবে গণপরিবহন আপাতত চলবে না। অন্যান্য বিধিনিষেধ যেমন আছে, তেমনই থাকবে। পরবর্তী সময়ে সরকার প্রয়োজন মনে করলে দুয়েকটি বিষয় শিথিল করতে পারে। সে বিষয়ে এখনই বলার কিছু নেই।
তবে বিধিনিষেধের সঙ্গে সঙ্গে মাস্ক পরা ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের দিকে গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে অনুসরণ করা হবে। ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’ সব ক্ষেত্রে বাস্তবায়ন করতে হবে। বিশেষ করে সরকারী অফিস-দফতরগুলোতে এটি কঠোরভাবে অনুসরণ করা হবে। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।