বিনামূল্যে টিকা সরবরাহ

3

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবারও করোনার ভ্যাকসিনকে বৈশ্বিক গণপণ্য হিসেবে ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন জাতিসংঘ-বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থাসহ বিশ্ব নেতৃবৃন্দের প্রতি। চীনে অনুষ্ঠিত বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়ার (বিএফএ) সম্মেলনের প্ল্যানারি পর্বে মঙ্গলবার প্রচারিত এক ভার্চুয়াল ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এই আহ্বান জানান। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক বছর আগে কোভিড-১৯ মোকাবেলায় বিশ্ব যখন হিমশিম খাচ্ছে এবং ভ্যাকসিন আবিষ্কারে প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, তখনও করোনার বিরুদ্ধে বিশ্বকে একযোগে মোকাবেলা করার জন্য ভ্যাকসিনকে বৈশ্বিক সম্পদ হিসেবে ঘোষণা করার আহ্বান জানিয়েছিলেন জাতিসংঘ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ বিশ্ব নেতৃবৃন্দের প্রতি। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ তথা আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্টে পুনরায় আক্রান্ত হয়েছে ২২১ দেশ। সংক্রমণ ও মৃত্যু হার বাড়ছে প্রতিদিন। অনেক দেশে ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরুই হয়নি। অধিকাংশ দেশের হাতে টিকাও নেই। অথচ ইতোমধ্যে টিকা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনীতি-কূটনীতি। অন্যদিকে দীর্ঘকালীন লকডাউন-শাটডাউনে জাতীয় অর্থনীতিও বিপর্যস্ত ও নাজুক। মুষ্টিমেয় কয়েকটি দেশ টিকা উৎপাদন করলেও অধিকাংশ ধনী দেশ তা কিনে নিয়েছে। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে বাংলাদেশের তিন কোটি ডোজ টিকা কেনার চুক্তি থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ আপাতত তা পাচ্ছে না, দেশটি টিকা রফতানি বন্ধ করে দেয়ার কারণে। এ অবস্থা জাতিসংঘ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে এগিয়ে আসতে হবে বিশ্বের সব দেশ যাতে বিনা মূল্যে অথবা স্বল্প মূল্যে টিকা পায় তা নিশ্চিত করার জন্য।
এখন চাই করোনা প্রতিরোধী টিকা সংগ্রহ ভারত ছাড়াও অন্যান্য দেশ থেকে আমদানি করে দেশবাসীকে তা বিনামূল্যে সরবরাহ ও প্রয়োগ করা। এর জন্য সরকার পৃথক অর্থ বরাদ্দও রেখেছে ১২০০ কোটি ডলার। এর বাইরেও বিশ্বব্যাংক, এডিবি, এআইইউবি ও জাইকার কাছে ৫০০ মিলিয়ন ডলার করে অনুদান চেয়ে চিঠি দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। দেশে বিদ্যমান বিনামূল্যে ইপিআই টিকাদান কর্মসূচির মতোই বিতরণ ও প্রয়োগ করা হবে এই ভ্যাকসিন। উল্লেখ্য, এক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিশেষ সাফল্য রয়েছে, যার স্বীকৃতি মিলেছে জাতিসংঘ বিশ্বব্যাংক ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক। বাংলাদেশ যথাসময়ে ৭০ শতাংশ মানুষকে টিকাদানের মাধ্যমে হার্ড ইমিনিটি অর্জনে সক্ষম হবে বলেই প্রত্যাশা।