লকডাউনে চরম দুর্ভোগের নিম্ন আয়ের মানুষ

9

কাজিরবাজার ডেস্ক :
সর্বাত্মক লকডাউনে সিলেটের বিভিন্ন এলাকার নিম্নবিত্ত মানুষের দু’চোখে যেন অন্ধকার নেমে এসেছে। তাদের অবস্থা খুবই করুন। ৩৫ বছরের যুবক সোহেল মিয়ার জীবন চলে নগরীর একটি মার্কেরেট সামনে পানের দোকান চালিয়ে। লকডাউনের কারণে গেল কয়েকদিন দোকান খুলতে পারেননি তিনি। তাই ৮ সদস্যের পরিবারের সদস্যদের মুখে ঠিকমতো দুবেলা দুমুঠো ভাত তুলে দিতে পারছেন না। এর মধ্যে বুড়ো বাবার ওষুধ লাগে প্রতিদিন দু-আড়াই শ টাকার। এমন অবস্থায় চরম দুশ্চিন্তায় আছেন সোহেল।
অন্যদিকে সর্বাত্মক লকডাউনে ভ্যানচালক বজলুল হকও বিপাকে। কাজ না থাকায় স্ত্রী ও তিন সন্তানের মুখে খাবার তুলে দেয়ার টাকা জোগাড় করতে পারছেন না তিনি।
সোহেল মিয়া আর বজলুল হকের মতো সিলেটে অসংখ্য দিনমজুর ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী লকডাউনের কারণে চরম কষ্টে আছেন। লকডাউনে কাজ হারানো এসব মানুষকে ঘরে রাখতে সরকার ও বিত্তবানদের এগিয়ে আসার তাগিদ দিয়েছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
নিম্ন আয়ের মানুষদের বিষয়ে সমাজ বিশ্লেষক ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন- গরীব মানুষদের সবার আগে খাদ্য নিরাপত্তা দিতে হবে। খাবার বিতরণ সমাধান নয়। আর তাদের কী প্রয়োজনীয়তা তা আমরা জানি না। তাই তাদের হাতে নগদ টাকা দিয়ে দিতে হবে। সবাই মিলে নিম্ন আয়ের মানুষের খবর রাখতে হবে। তাদের খাবার ও অর্থের যোগান দেয়া গেলেই কেবল তাদের ঘরে রেখে সর্বাত্মক লকডাউন পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা যাবে।