করোনার টিকা

11

সারা বিশ্ব জুড়ে গত বছরে করোনা মহামারিতে আক্রান্ত হয়ে প্রায় ৯ কোটি ৭ লাখের চেয়ে বেশি লোক প্রাণ হারিয়েছেন। বাংলাদেশে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখা কম নয়, করোনা নামক মহামারির হাত থেকে রক্ষার টিকা আবিষ্কার হয়েছে। আমাদের দেশে টিকাদান শুরু হয়নি। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে বিতরণ করার আলোচনা শোনা গেলে ও কয়েক দফায় এ টিকা দান করা হবে বলে জানা যাচ্ছে।

শীতকালে প্রচন্ড শীতের প্রকোপ যে ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে, এ মৌসুমে শীতজনিত বিভিন্ন রোগের সাথে করোনা মহামারিতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ মুহূর্তে আমাদের মত শীত প্রধান দেশে করোনার টিকাদান জরুরী হয়ে পড়েছে। যেভাবে হউক দেশে করোনা মহামারির টিকাদান কর্মকান্ড পরিচালনা করা উচিত।

বিভিন্ন সূত্র মতে আমাদের দেশে করোনার টিকাদান কার্যক্রম বিভিন্ন দফায় পরিচালিত করা হবে। কোভিড-১৯, টিকা পাবেন যারা তাদের তালিকা করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তাদের মতে তালিকানুযায়ী কোভিড-১৯, প্রথম দফায় টিকা পাবেন, স্বাস্থ্য সেবায় সরাসরি সম্পৃক্ত সরকারি-বেসরকারি স্বাস্থ্য কর্মীরা। এরপর পাবেন, মুক্তিযোদ্ধা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর সদস্য, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারি, সংবাদ মাধ্যমকর্মী, ও জনপ্রতিনিধিরা।

জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্র মতে অক্সফোড অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত এবং ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত নভেল করোনাভাইরাসের  (কোভিড-১৯) টিকার প্রথম চালান আগামী ২৫ জানুয়ারির মধ্যে দেশে পৌঁছবে বলে সরকার আশা করছেন। সবকিছু ঠিক থাকলে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে মাঠ পর্যায়ে এ টিকা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেজন্য আগামী ২৬ জানুয়ারি থেকেই অনলাইনে নিবন্ধন শুরু হবে। এ টিকা তালিকা অনুযায়ী বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হবে।

এছাড়া ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্র মতে; টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সর্ম্পকে বলা হয়েছে, ভ্যাকসিন প্রয়োগের পর মাথা ঝিমঝিম করা, ব্যথা,বমিবমি ভাব দেখা দিতে পারে। তবে স্বাস্থ্য কর্মীরা মাঠ পর্যায় থাকবে।

দেশবাসীর প্রত্যাশা যত শীঘ্রই করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া হবে, ততই জনমঙ্গল।