ভোগ্যপণ্যের চড়া দামে বছর শুরু

13

চড়া দামের মধ্যে দিয়ে আমাদের নতুন বছরের শুরু হলো। সরকারের যত ধরনের দাম বেধেঁ দেয়া হউক না কেণ? ব্যবসায়ীরা সরকারের সব ধরনের নিয়ম-নীতিকে উপেক্ষা করে তাদের ফায়দা হাসিলের পন্থা ঠিক রেখে ব্যবসা করতে কোন প্রকার তোয়াক্ষা করেনি। ফলে গত বছর করোনা নামক মহামারির মত দুর্যোগ মুহূর্তে এ সব অসাধু ব্যবসায়ী চক্র তাদের কর্মকান্ড চালিয়ে ক্রেতা সাধারণের পকেট কেটে আর্থিক ফায়দা আদায় করেছে।
দেশের সাধারণ মানুষের ভ্যেগ্যপণ্যের অযৌক্তিক ভাবে দাম বাড়িয়ে ক্রেতাদের যে কষ্ট ভোগ করতে হয়েছে, তা শুধু ক্রেতা সাধারণ ছাড়া কেহ অনুভব করা সম্ভব নয়। অসাধু ব্যবসায়ী চক্র বিভিন্ন সময়ে নানান অজুহাত তৈরি করে ভোগ্য পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিলেও যথারিতি আইনী পদক্ষেপের অভাবে সাধারণ মানুষ অনেক কষ্টের মাধ্যমে গত বছরটি পার করলেও চলতি বছরে কি অবস্থা হবে তাই ভাবছেন। চলতি ধান-চালের মৌসুম হলেও এখনও বিভিন্ন ধরনের চালের আমদানি বাড়ছে। এখনও চালের দাম কমার কোন লক্ষণ পরিলক্ষিত হচ্ছে না, ফলে ক্রেতা সাধারণের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিচ্ছে।
মানুষের অতি-নিত্যপণ্যের মধ্যে তেল, পেঁয়াজ, আলু সহ অন্যান্য পণ্যের দাম এখনও ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আসেনি। পেঁয়াজ আমদানি হলেও হাট-বাজারে খুচরা দাম এখনও নিম্নমুখি হচ্ছে না, সয়াবিন তেল এখনও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। বর্তমানে বাজারে নতুন আলু ও পেঁয়াজ কিছু-কিছু করে আসলেও দামের বেলায় চড়া, আড়ত থেকে খুচরা বাজার পর্যন্ত কেহ কোনো ছাড় দিচ্ছে না। ফলে কম আয়ের লোকজন সবচেয়ে বেশি বেকায়দায় পড়েছেন। দিনমজুরদের বেলায় কত কষ্ট হচ্ছে, তা বলার উপেক্ষা রাখে না।
সাধারণ ভুক্তভোগী ক্রেতাদের স্বার্থ রক্ষায় প্রয়োজন বাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা। বাজার নিয়ন্ত্রণে কার্যকারি পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হলে ভোক্তা অধিকার ভুলূণ্ঠিত হবে। তাই বছরের শুরু থেকেই বাজার নিয়ন্ত্রিত করার ব্যবস্থা কল্পে পদক্ষেপ নেয়া অতীব জরুরী বলে বিশেষজ্ঞ মহল মনে করেন।