সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন ॥ সিএসই’র সিলেট অফিস সংকীর্ণ ও ইনচার্জ বদলীর সিদ্ধান্তের পরিবর্তন চান বিনিয়োগকারীরা

2
সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন নগরীর উপশহরের বাসিন্দা ফেরদৌসি রহমান।

স্টাফ রিপোর্র্টার :
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সিলেট অফিস সংকীর্ণ ও ইনচার্জ বদলী সিদ্ধান্তের পরিবর্তন চেয়েছেন সিলেটের সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। তারা বলছেন, বর্তমানে সিলেটে সিএসই’র নিবন্ধিত একক ও যৌথ ৩৪টি সিকিউরিটিজ হাউজ রয়েছে। শেয়ারবাজার ধসের কারণে সারাদেশের বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন। পাশাপাশি সিলেটের বিভিন্ন সিকিউরিটিজ হাউজের দুর্নীতিও বিনিয়োগকারীদের সর্বশান্ত করে দিয়েছে। এমতাবস্থায় প্রতারণার শিকার বিনিয়োগকারীদের অভিযোগের নিষ্পত্তি না করেই সিএসই’র সিলেট অফিস বন্ধ এবং ইনচার্জ বদলির সিদ্ধান্ত তাদের দুশ্চিন্তায় ফেলেছে।
বুধবার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে বিনিয়োগকারীদের পক্ষে এসব কথা তুলে ধরেন নগরীর উপশহরের বাসিন্দা ফেরদৌসি রহমান। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘সিলেটে সিএসই নিবন্ধিত জালালাবাদ, মেট্রোসিটি, আইএসসিএল ও ফাস্টলিড সিকিউরিটিজের প্রতারণার শিকার হয়ে কয়েক সহস্রাধিক বিনিয়োগকারী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বিনিয়োগকারীদের সরল বিশ্বাসের সুযোগে এসব হাউস বিও একাউন্ট থেকে কয়েক কোটি টাকার শেয়ার তছরুপ করে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীরা সিলেট অফিসের দ্বারস্থ হলে বর্তমান ইনচার্জের প্রচেষ্টায় অনেকে তাদের পাওনা আদায় করতে সক্ষম হয়েছেন। তবে অনেক বিনিয়োগকারী এখনো তাদের পাওনা বুঝে পায়নি। বিনিয়োগকারীদের তছরুপ করা শেয়ারের নির্ধারিত মূল্য থেকে কম টাকা দিয়ে অনেকের অভিযোগ নিষ্পত্তি করা হয়েছে। বর্তমানে অভিযুক্ত হাউসগুলো কয়েক কোটি টাকার লাভবান হচ্ছে। তবে বিনিয়োগকারীরা ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছেন। আর হাউসগুলোও লাভবান হতে কম মূল্যে সমাধানে আগ্রহী, কিন্তু ইনচার্জ তা মানতে রাজি নন।’
তিনি বলেন, সম্প্রতি সিলেট অফিস বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে মর্মে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের পক্ষ থেকে সিকিউরিটিজ হাউজগুলোকে জানানো হয়। এমন খবর শোনে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন বিনিয়োগকারী। অফিস বন্ধ না করতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান বরাবরে একাধিক লিখিত আবেদন এবং মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন তারা। পরে অফিস বন্ধ না করে সীমিত পরিসরে করার সিদ্ধান্ত হয়। পাশাপাশি বর্তমানে অফিস ইনচার্জকে বদলির সিদ্ধান্ত হয়েছে বলেও জানা গেছে। এ কারণে বিনিয়োগকারীরা কঠোর আন্দোলনে নামার ঘোষণা দিয়েছেন। শিগগিরই ‘বিনিয়োগকারী স্বার্থ সুরক্ষা’ নামে একটি সংগঠনের আত্মপ্রকাশ করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মো. মশিউল আলম, আনোয়ার হোসেন, মো. আখতার বাসিত, ধনঞ্জয় চৌধুরী ও মসরুর আলম।