জাফলংয়ে এখনো সন্ধান মেলেনি নিখোঁজ পর্যটকের

17
জাফলংয়ে নিখোঁজ পর্যটককে উদ্ধারে চেষ্টা চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।

গোয়াইনঘাট থেকে সংবাদদাতা :
পর্যটন কেন্দ্র জাফলংয়ে বেড়াতে এসে পানিতে ডুবে নিখোঁজ হওয়া পর্যটকের সন্ধান এখনও মেলেনি। বুধবার (৫ আগষ্ট) ২য় দিনের মতো উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে তার সন্ধান পাওয়া যায়নি।
বুধবার সকাল থেকেই পুলিশ, বিজিবি, স্থানীয় ডুবুরি ও সিলেটের ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত উদ্ধার তৎপরতা চালিয়েও তার সন্ধান মেলাতে পারেনি।
এদিকে, এ ঘটনার পর থেকেই বুধবার কিছু পর্যটক জাফলং ভ্রমণে আসলে স্থানীয় প্রশাসন ও ট্যুরিষ্ট পুলিশ তাদেরকে বুঝিয়ে বিদায় করে দেন। পরবর্তী আদেশ না দেয়া পর্যন্ত পর্যটকরা জাফলংয়ে মূল স্পট অর্থাৎ পিয়াইন নদীতে কেউ যেতে পারবেন না বলে জানানো হয়েছে।
গত মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে জাফলংয়ের জিরো পয়েন্ট এলাকায় গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হন জুবায়ের (২২) নামের এক পর্যটক। তিনি ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার লাম কাইন এলাকার জজ মিয়ার ছেলে এবং স্থানীয় বায়তুল ফালাহ নামক একটি মাদ্রাসার শিক্ষার্থী।
জুবায়ের ও তার ১৫ জন বন্ধু-বান্ধব মিলে ময়মনসিংহ থেকে মঙ্গলবার দুপুরে জাফলংয়ে বেড়াতে আসেন। বিকেলের দিকে তারা জাফলংয়ের জিরো পয়েন্ট এলাকায় নদীতে গোসল করতে নামে। এ সময় সাঁতার না জানায় স্রোতের টানে পানিতে ডুবে নিখোঁজ হয় জুবায়ের।
এরপর থেকেই ট্যুরিস্ট পুলিশ, থানা পুলিশ, বিজিবি ও সিলেটের দমকল বাহিনীর ডুবুরি দলের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার তৎপরতা চালায়। কিন্তু নিখোঁজ হওয়ার একদিন পেরিয়ে গেলেও তার সন্ধান এখনও মেলেনি।
এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নাজমুস সাকিব জানান, পর্যটক নিখোঁজ হওয়ার পর থেকেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পুলিশ, দমকল বাহিনী ও বিজিবির সমন্বয়ে নিখোঁজ যুবকের সন্ধানে অভিযান চালানো হচ্ছে। সন্ধান না পাওয়া পর্যন্ত তাদের এ চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, যেহেতু সরকারি নির্দেশনায় সব ক’টি পর্যটন স্পট বন্ধ রেখে জনসাধারণকে সুরক্ষিত রাখার জন্য কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে, সেহেতু জাফলং জিরো পয়েন্টসহ সকল স্থানে পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত পর্যটক আনাগোনা বন্ধ রাখা হয়েছে।