সিলেট বিভাগে করোনা আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ১৩৯ জনের মৃত্যু

7

স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেট বিভাগে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছেই। স্বাস্থ্য বিভাগ, সিলেট-এর বুলেটিন অনুযায়ী, গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত এ বিভাগে কোভিড-১৯-এ আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৫৭৮ জনে। এ পর্যন্ত এ বিভাগে মারা গেছে ১৩৯ জন।
বুলেটিন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, কোভিড-১৯ আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যায় বিভাগের তিন জেলার চেয়ে এগিয়ে আছে সিলেট জেলা। এ জেলায় মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ৪০৭৬ জন। মৃত্যু হয়েছে ১০৪ জনের।
বুলেটিন অনুযায়ী, বিভাগের বাকি তিন জেলার মধ্যে সুনামগঞ্জে ১৪৩৫ জন, হবিগঞ্জে ১১৩২ জন এবং মৌলভীবাজারে ৯৩৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন মরণঘাতি এ ভাইরাসে। আর এ তিন জেলার মধ্যে সুনামগঞ্জে ১৫ জন, হবিগঞ্জে ১০ জন এবং মৌলভীবাজারে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বুলেটিন অনুযায়ী, আক্রান্ত মৃত্যুর ও সংখ্যা সিলেটে বেশি হলেও সুস্থতার হার কম। সুস্থতার দিকে থেকে চার জেলার মধ্যে সুনামগঞ্জ জেলা এগিয়ে রয়েছে। চার জেলায় মোট আক্রান্তের মধ্যে এ পর্যন্ত ৩২৫৬ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এর মধ্যে সিলেট জেলায় ১০১১ জন। আর সুনামগঞ্জ জেলায় ১০৯২ জন সুস্থ হয়েছেন। এছাড়া, হবিগঞ্জে ৬২২ জন এবং মৌলভীবাজারে ৫৩১ জন সুস্থ হয়েছেন।
গত ৫ এপ্রিল সিলেটে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয় ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা: মো: মঈন উদ্দিন-এর । ১৫ এপ্রিল করোনায় আক্রান্ত এ চিকিৎসক মারা যান। এরপর বিভাগে একে একে ১৩৯ জন রোগী মারা গেছেন।
গত ২৭ এপ্রিল বিভাগে প্রথম সুনামগঞ্জে দুই রোগী করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন। এরপর প্রতিদিন বিভাগের বিভিন্ন জেলার রোগীরা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছেন।
স্বাস্থ্য বিভাগ সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের বুলেটিন থেকে আরও জানা যায়, চার জেলায় বর্তমানে হাসপাতালে করোনা পজিটিভ নিয়ে চিকিৎসাধীন আছেন ১৯১ জন। এর মধ্যে সিলেটে ৮৪ জন, সুনামগঞ্জে ৩৮ জন, হবিগঞ্জে ৪৪ জন এবং মৌলভীবাজারে ২৫ জন চিকিৎসাধীন আছেন।
স্বাস্থ্য বিভাগ সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ডা: আনিসুর রহমান বলেন, সিলেট জেলায় পরীক্ষা হচ্ছে বেশি। তাই শনাক্তও হচ্ছে বেশি। তবে যাদের মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে বয়োবৃদ্ধ এবং বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছিলেন এমন সংখ্যা বেশি। তিনি বলেন, প্রথম দিকে আক্রান্তের তুলনায় সিলেট জেলায় সুস্থতার হার কিছুটা কম হলেও এখন সুস্থতার সংখ্যাও বাড়ছে।