অনলাইন ক্লাসে ফিরতে শাবি শিক্ষার্থীদের ছয় দফা

4

শাবি থেকে সংবাদদাতা :
বিশ্বজুড়ে কোভিড-১৯ ভাইরাসের ব্যাপক সংক্রমণের ফলে সৃষ্ট অচলাবস্থার কারণে এ বছরের মার্চ থেকেই শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সরাসরি শিক্ষা কার্যক্রম কার্যত বন্ধ রয়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করলেও নানা প্রতিবন্ধকতায় শতভাগ শিক্ষার্থী এতে অংশগ্রহণ করতে পারেন নি।
অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে প্রথম সেমিস্টার শেষ করে দ্বিতীয় সেমিস্টার শুরু হওয়ার কথা রয়েছে আগামী ১৯ জুলাই থেকে। আগত এই সেমিস্টারের শিক্ষা কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার জন্য বিভিন্ন দাবি জানিয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
শনিবার সকালে গণমাধ্যমে প্রেরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নানা সময়ে অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর ঘোষণা দেয়া হলেও এই কার্যক্রমেরই বহুবিধ সমস্যা ও বিদ্যমান বৈষম্যের কারণে তাতে শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করতে পারেনি। তাই, বৈষম্যহীন এবং সকল শিক্ষার্থীর জন্য সহজলভ্য একটি অনলাইন কার্যক্রম নিশ্চিত করার লক্ষ্যে শাবিপ্রবির বিভিন্ন শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে আমরা বিভিন্ন দাবি পেশ করছি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট ঘোষণার মাধ্যমে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর পূর্বে এসব দাবি মেনে নিতে হবে, অন্যথায় শিক্ষার্থীরা অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম বর্জনের মতো কঠোর কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হবে।’
শিক্ষার্থীরা তাদের দাবির প্রেক্ষিতে বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করেন, ‘যেহেতু শিক্ষার্থীদের ইন্টারনেটের মাধ্যমে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ ডেটা খরচ হবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এই শিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী সকল শিক্ষার্থীকে অবশ্যই শিক্ষা-ভর্তুকির আওতায় যথাযথ অঙ্কের ডেটা বান্ডেল সরবরাহ করতে হবে। এক্ষেত্রে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমে পূর্ণাঙ্গ অংশগ্রহণের জন্য একজন শিক্ষার্থীর ঠিক কী পরিমাণ ডেটা খরচ হয় তা একটি সুষ্ঠু সমীক্ষার মাধ্যমে নির্ণয় করতে হবে।
যেসব শিক্ষার্থীর প্রয়োজনীয় স্মার্ট ডিভাইস নেই এবং ডিভাইস ক্রয় করার মত আর্থিক সামর্থ্যও নেই, প্রশাসনের পক্ষ হতে যোগাযোগ করে তাদের জন্য প্রয়োজনীয় স্মার্ট ডিভাইসের ব্যবস্থা করে দিতে হবে।
দেশের সকল স্থানে নেটওয়ার্কের নিরবচ্ছিন্নতা না থাকায় এবং বিদ্যুৎ-বিভ্রাটের কারণে সরাসরি কোন ক্লাস নেয়া যাবে না। এক্ষেত্রে শিক্ষককে লেকচারের ভিডিও ধারণ করে তা নির্দিষ্ট মাধ্যমে আপলোড করতে হবে।
শিক্ষকদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ এবং প্রস্তুতি নেওয়ার সময় দিতে হবে যেন তাদের অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনাকালীন কোনোধরণের অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতির শিকার না হতে হয়।
অনলাইনে কোনো ধরণের পরীক্ষা নেয়া যাবে না। বিশ্ববিদ্যালয় খুললে প্রথমে পর্যাপ্ত সময় নিয়ে রিভিউ ক্লাস নিতে হবে।
এবং যদি অনলাইন কার্যক্রমের মাধ্যমে একের অধিক সেমিস্টার শেষ করা হয় তবে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর সেমিস্টারের ক্রমানুসারে সেমিস্টার ফাইনাল নিতে হবে।’
উল্লেখ্য, প্রশাসনের পক্ষ থেকে চলতি শিক্ষাবর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টার শুরুর ঘোষনা আসলেও বেশীরভাগ বিভাগের প্রথম সেমিস্টারের কোর্সগুলো এখনও শেষ হয় নি। সার্বিক বিষয়ে বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।