জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের সমাবেশে বক্তারা ॥ রাষ্ট্রায়ত্ত ২৬টি পাটকল বন্ধের সিদ্ধান্ত বাতিল করুন

6
রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল বন্ধের সিদ্ধান্ত এবং বিভিন্ন খাতের প্রতিষ্ঠানে গণহারে শ্রমিক ছাঁটাই এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন সিলেট জেলার সভাপতি কমরেড সিকান্দার আলী।

করোনা মহামারী সৃষ্ট জাতীর এই ক্রান্তিলগ্নে শ্রমিকদের মুখে লাথি মেরে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল বন্ধের সিদ্ধান্ত, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে শ্রমিক ছাটাই এবং রাষ্ট্রের প্রতিটি খাতে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন, সিলেট জেলা কমিটির উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১লা জুলাই) বিকেল ৩ টায় সিলেট নগরীর কোর্ট পয়েন্ট অনুষ্ঠিত সমাবেশে জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন সিলেট জেলার সভাপতি কমরেড সিকান্দার আলীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কাজী আনোয়ার হোসেন এর সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তারা বলেন কোভিড ১৯ করোনা বিশ্বব্যাপি এক মহামারী, মহাদুর্যোগের নাম। অতিতে অর্থ মন্দার ফলে দুর্ভিক্ষ, বন্যা, খরাসহ নানান প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রাণ নাশ, জীবনযাত্রায় লাগবহীন ক্ষতি হলেও মরণঘাতি এমন ভাইরাসের সংক্রমণের ফলে বিশ্বব্যাপি লাখ লাখ মানুষ আক্রান্ত ও প্রতিদিনের মৃত্যুর মিছিল এবারই প্রথম বিশ্ববাসী প্রত্যক্ষ করেছে। অথচ আজও কোনো দেশ রাষ্ট্রায়ত্ত কোন প্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত বা ঘোষণা দেয়নি, বরং আরো চালুর ব্যপারে ব্যপক পরিসরে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত ও বাজেট দিচ্ছে।
বাংলাদেশ কৃষি বান্ধব দেশ, এদেশের প্রায় পাঁচ একাংশ মানুষ পাট চাষ, উৎপাদন শিল্প, বাজারজাতকরণ, এবং রপ্তানি কাজে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ত। দেশে আজ পাটের সোনালী ফলনের মুখ দেখার কথা অথচ সরকারের কিছু দুর্নীতিবাজদের কারণে কৃষক তার ন্যায্য দাবী পাচ্ছে না, রাষ্ট্র তার সঠিক রাজস্ব থেকে বঞ্চিত এবং শিল্প কারখানা আজ ক্ষতিগ্রস্ত এবং শ্রমিকেরা তাদের সঠিক মজুরি পায়না।
এমতাবস্থায় সরকার ও পাটমন্ত্রীর কিভাবে শ্রমিকের অধিকার আদায় না করে তাদের মুখে লাথি মেরে ২৬টি পাটকল রাষ্ট্রায়ত্ত থেকে বন্ধের সিদ্ধান্ত নেন? কাজেই জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন মনে করে পুনরায় রাষ্ট্রায়ত্ত সবগুলো পাটকল সহ সকল কলকারখানা যোগ্য ও সঠিক ব্যক্তিদ্বারা পরিচালনা করে অচিরেই শ্রমিকদের দাবী মেনে সহ সহ প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত করতে হবে।
বক্তারা আরো বলেন সরকারের দুর্নীতির ফলে মন্ত্রী, আমলা, ডাক্তার, পুলিশ থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ প্রায় বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু বরণ করছেন। সুষ্ঠু স্বাস্থ ব্যবস্থাপনা না থাকায় সাধারণ রোগীরাও নানান হাসপাতালে ধর্না দিচ্ছে কিন্তু চিকিৎসা সেবা না পেয়ে মৃত্যুবরণ করছে।
মানববন্ধনে অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পার্টি জেলা সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রাণী সেন সম্পা, নেতা দীনবন্ধু পাল, হিমাংসু মিত্র, আবদুল্লাহ খোকন, আলমগীর হোসেন রুমেল, মহীতোষ চৌধুরী প্রসাদ, অজিত দেবনাথ, ছাত্র মৈত্রী সিলেট জেলার সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা চৌধুরী, আলিফ আহমেদ। অন্যান্যের মধ্য উপস্থিত ছিলেন জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন, গার্হস্থ্য নারী শ্রমিক ইউনিয়ন ও কৃষক সমিতির নেতৃবৃন্দ। বিজ্ঞপ্তি