বাংলাদেশে আটকে পড়া স্পেন গেলেন ২৭৩ বাংলাদেশী, মালদ্বীপ থেকে ফিরলেন ২শ’ জন

15

কাজিরবাজার ডেস্ক :
করোনা তান্ডবে বাংলাদেশে এসে আটকে পড়েছেন ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কর্মরত প্রায় সহস্রাধিক প্রবাসী। তাদের মধ্যে ২৭৩ জনকে নিয়ে স্পেনের মাদ্রিদের উদ্দেশে রওনা হয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট। শুক্রবার সকাল ৮টা ৩৫ মিনিটে বিশেষ এই ফ্লাইটটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মাদ্রিদের উদ্দেশে যাত্রা করে।
এছাড়া মালদ্বীপ থেকে ফিরেছেন ২শ’ বাংলাদেশী। কাতারওয়েজের তৃতীয় ফ্লাইটটিও ঢাকায় এসেছে শুক্রবার ভোরে। তবে আগামী ২২ ও ২৬ জুনের বাহরাইনে ফিরতে ইচ্ছুক বাংলাদেশীদের ফ্লাইট দুটি বাতিল করা হয়েছে। শেষ মুুহূর্তে কি কারণে তা বাতিল করা হলো তা জানানো হয়নি।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম-পিআর) তাহেরা খন্দকার জানিয়েছেন, ফ্লাইটের যাত্রীরা স্পেনের রেসিডেন্ট কার্ড পাওয়া প্রবাসী বাংলাদেশী। ছুটি শেষ হওয়ায় তারা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দেশে ফেরার আবেদন করেন। মন্ত্রণালয়ের দেয়া তালিকা অনুযায়ী তাদের জন্য বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনা করা হয়। বিশেষ এই ফ্লাইটটি স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে মাদ্রিদে অবতরণ করবে। ফ্লাইটের ইকোনমি প্যাসেঞ্জারের কাছ থেকে ৯০ হাজার ও বিজনেস ক্লাসের জন্য ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা ভাড়া ধরা হয়েছে।
মালদ্বীপে অবস্থানরত ২শ’ প্রবাসী বাংলাদেশী নাগরিক ঢাকায় ফিরেছেন। শুক্রবার রাতে তারা ফিরেন। মালদ্বীপের বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্র জানিয়েছে- মালদ্বীপিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ প্লেনে শুক্রবার সন্ধ্যায় এসব বাংলাদেশী দেশে ফিরেন। করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে বাংলাদেশী নাগরিকরা মালদ্বীপে আটকে পড়েছেন। সে কারণে ধাপে ধাপে তাদের ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। করোনাভাইরাসের পরিপ্রেক্ষিতে এর আগেও কয়েক দফায় মালদ্বীপ থেকে বাংলাদেশী নাগরিকদের ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এছাড়া শুভেচ্ছা সামগ্রী হিসেবে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সেখানে খাদ্য, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ও ওষুধ পাঠানো হয়েছিল।
এদিকে ছুটিতে দেশে আসা প্রায় ৮শ’ বাংলাদেশী বাহরাইনে ফেরা অনিশ্চিত হয়ে গেছে। আগামী ২২ ও ২৬ জুন তাদের বাহরাইনে নেয়ার জন্য বিমানের দুটি ফ্লাইটও ভাড়া করা হয়েছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে তা বাতিল করায় তারা চরম অনিশ্চিয়তায় পড়েছে। কি কারণে তাদের ফ্লাইট দুটি বাতিল করা হলো তা জানানো হয়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে ঢাকায় করোনার নকল সনদ ধরা পড়ায় বাহরাইন সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।